ভারতের দিল্লিতে এক নারীকে গাড়িচাপা দিয়ে টেনে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় নতুন মোড় সামনে এসেছে। তার পরিবারের অভিযোগ, মৃত্যুর আগে ওই নারীর সঙ্গে যৌন নির্যাতনের ঘটনাও ঘটেছে।
যদিও পুলিশ বলছে, অভিযুক্তরা সবাই মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। জেরায় যৌন নির্যাতনের বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, বর্ষবরণের রাতে দিল্লির রাস্তায় ঘটে অনাকাঙ্ক্ষিত এক ঘটনা। গাড়িচাপা দিয়ে এক নারীকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নেয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। এ ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদে বেশকিছু তথ্য জানতে পেরেছে পুলিশ। গাড়ি চালানোর সময় মদ পান করেছিল ওই পাঁচজন। অঞ্জলি সিং নামে ওই নারী কখন তাদের গাড়ির নিচে চলে যায় সেটা টেরই পায়নি তারা। উল্টো যখন বুঝতে পারে, তখন ক্ষতবিক্ষত ওই দেহ রাস্তায় ফেলে রেখেই পালিয়ে যায় তারা। তবে ওই নারীর পরিবার মৃত্যুর আগে যৌন নির্যাতনের যে অভিযোগ এনেছে, সে বিষয়ে কিছু জানায়নি অভিযুক্তরা।
এদিকে ঘটনার দিন অঞ্জলির সঙ্গে থাকা তার বান্ধবীর দাবি, অভিযুক্তরা জানত তাদের গাড়ির নিচে একজন চাপা পড়েছে। তা সত্ত্বেও তারা গাড়ি থামানোর কোনো চেষ্টা করেনি।
ওই ঘটনায় দোষীদের বিচারের দাবিতে মঙ্গলবারও (৩ জানুয়ারি) বিক্ষোভ করেছে সাধারণ মানুষ। অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবি জানিয়েছে অঞ্জলির পরিবার।
এর আগে ঘটনাটি সামনে এলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন দিল্লিবাসী। সুলতানপুর থানার সামনে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ করেন শত শত মানুষ। এ সময় তাদের বাধা দিতে জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ।
ইস্যুটি নিয়ে এখন চলছে নোংরা রাজনীতিও। দিল্লির শাসক আম আদমি পার্টির অভিযোগ, অভিযুক্তরা সবাই বিজেপির সমর্থক হওয়ায় মামলাটি নিয়ে সোচ্চার নয় পুলিশ। তবে সরাসরি কোনো মন্তব্য না করলেও, ঘটনার দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।