চলতি বছর ভারতের ১০ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। বেশ কয়েকটি রাজ্যে আছে পঞ্চায়েত ভোটও। আর আগামী বছর জাতীয় নির্বাচন। এ সবকিছু সামনে রেখে এরই মধ্যে নিজেদের ভোটের মাঠের কৌশল প্রস্তুত করতে শুরু করেছে ভারতের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো।
নতুন বছর ভারতের রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে খুবই গুরত্বপূর্ণ। এর অন্যতম কারণ ত্রিপুরা, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, মেঘালয়, জম্মু-কশ্মীর, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটকা, ছত্তিশগড়, নাগাল্যান্ড এবং মিজোরামের মতো ১০ রাজ্যে বিধানসভা ভোট। বেশিরভাগ রাজ্য বর্তমানে শাসন করছে বিজেপি। একই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে রয়েছে তিন ধাপের পঞ্চায়েত নির্বাচনও।
এ নির্বাচনগুলোর মধ্যদিয়ে প্রাদেশিকভাবে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের জনপ্রিয়তা যাচাই করার সুযোগ পাবে। সেই সঙ্গে স্থানীয় সরকার কিংবা রাজ্য সরকার গড়ার সুযোগও নিশ্চিত করবে। আর সে কারণেই দেশটির প্রধান কয়েকটি রাজনৈতিক শক্তি এখন মরিয়া হয়ে নেমে পড়েছে মাঠে।
স্থানীয় সময় সোমবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে কলকাতার নজরুল মঞ্চে আয়োজিত দলীয় রাজনৈতিক সমাবেশে পশ্চিমবঙ্গের শাসক তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করার ঘোষণা দেয়। পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপি যাতে বিজয়ী হতে না পারে, সে জন্য এখন থেকেই জনকল্যাণমূলক কাজ বাড়ানো ও দলীয় নেতাকর্মীদের জনসংযোগে মনযোগী হতে নির্দেশ দেন দলটির নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আগামী তিন মাস রাজ্যের প্রতিটি গ্রামে তৃণমূলের ৩২০ জন বিধায়ককে ন্যূনতম একদিন করে থাকতে বলেন মমতা। সেই সঙ্গে ‘দিদির দূত’ নামে একটি অ্যাপের মাধ্যমে মানুষের অভিযোগ জানানোর সুযোগ নিশ্চিত করার কথাও বলেন তিনি। দলীয় নির্দেশ পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই চাঙা তৃণমূল নেতাকর্মীরা। যদিও একই সুর ছিল বিরোধীদলের নেতা শুভেন্দু অধিকারীর কণ্ঠে।
পশ্চিমবঙ্গে সবশেষ পঞ্চায়েত ভোট হয়েছিল ২০১৮ সালে। সেবার ৩৪ শতাংশ গ্রাম পঞ্চায়েতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পায় শাসক তৃণমূল। প্রায় ১০ হাজার গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৭৫ শতাংশ তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে।