জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য হচ্ছে জাপান। চলতি ২০২৩ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত দুই বছরের জন্য নিরাপত্তা পরিষদে অস্থায়ী সদস্যের দায়িত্ব পালন করবে এশিয়ার দেশটি।
১৯৫৬ সালে জাতিসংঘের সদস্য হওয়ার পর এ নিয়ে ১২ বার এই ভূমিকায় নির্বাচিত হয়েছে জাপান। যা জাতিসংঘের অন্য যেকোনো সদস্য দেশের চেয়ে বেশি। এছাড়া দেশটি জানুয়ারিতে পরিষদের সভাপতি রাষ্ট্রের দায়িত্বও পালন করবে, যা প্রতি মাসে পরিবর্তিত হয়।
যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়াসহ মোট পাঁচটি স্থায়ী এবং দশটি অস্থায়ী সদস্য দেশ নিয়ে গঠিত জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। এটাই জাতিসংঘের একমাত্র সংস্থা যা নিষেধাজ্ঞা আরোপের পাশাপাশি বল প্রয়োগের অনুমোদন দেয়ার মতো আইনত বাধ্যতামূলক সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা রাখে।
সোমবার (২ জানুয়ারি) বক্তব্যে ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের কারণে রাশিয়ার নিন্দা জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। তিনি বলেন, নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ ভেটো ক্ষমতার দেশের অন্যতম রাশিয়া বর্তমান বিশ্ব ব্যবস্থা ভাঙার চেষ্টা করছে।
জাতিসংঘে জাপানের নতুন দায়িত্ব ও ভূমিকা নিয়ে কিশিদা আরও বলেন, জাতিসংঘের কার্যকারিতা ফিরিয়ে আনতে সংস্কারকের ভূমিকা পালন করবে তার দেশ।
তবে ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন ও উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি নিয়ে বিশ্বের প্রধান শক্তিধর দেশগুলোর মধ্যে মতবিরোধ চলাকালে পরিষদ পরিচালনার ক্ষেত্রে জাপান চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে অভিযান শুরু করার পর থেকে পশ্চিমা দেশগুলো ও রাশিয়ার মধ্যে তীব্র দ্বন্দ্ব চলছে। এই সময়ের মধ্যে মস্কো বারবার পশ্চিমাদের পেশ করা প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করেছে।