দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ সামরিক মহড়া নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল জানিয়েছেন, মার্কিন পারমাণবিক সম্পদ ব্যবহার করে সম্ভাব্য যৌথ পরিকল্পনা ও মহড়া নিয়ে আলোচনা করছে দুই দেশ। কিন্তু একদিন পরই বিষয়টি নাকচ করে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার খবরে বলা হয়, উত্তর কোরিয়ার ক্রমবর্ধমান পারমাণবিক এবং ক্ষেপণাস্ত্র হুমকির মুখে এ মহড়ার আয়োজন করা হবে বলে সোমবার (২ জানুয়ারি) জানিয়েছিলেন ইউন সুক-ইওল। কিন্তু তার মন্তব্যের মাত্র একদিন পর বাইডেন জানালেন দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সামরিক মহড়া নিয়ে কোনো আলোচনা চলছে না এ মুহূর্তে।
প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল বলেছেন, মার্কিন মিত্রদের ওপর আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য মার্কিন পারমাণবিক শক্তির ক্ষমতা পরখ করে দেখাই এ মহড়ার লক্ষ্য। পারমাণবিক অস্ত্রগুলো যুক্তরাষ্ট্রের। তবে পরিকল্পনা, তথ্য ভাগাভাগি, অনুশীলন ও প্রশিক্ষণ দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যৌথভাবে পরিচালিত হওয়া উচিত।
সোমবার (৩ জানুয়ারি) বাইডেনকে প্রশ্ন করা হয়, দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সামরিক মহড়া নিয়ে কোনো আলোচনা চলছে কি না? জবাবে বাইডেন সংক্ষেপে উত্তর দেন, ‘না।’ তবে এ বিষয়ে তিনি আর বিস্তারিত মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এদিকে, ইওলের এ মন্তব্যের মাত্র একদিন আগে উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন নতুন আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) এবং পারমাণবিক অস্ত্র উন্নয়নের আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির বিজ্ঞানীদের প্রতি। কিম গত সপ্তাহে উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির বাৎসরিক বৈঠকে বলেন, ‘দক্ষিণ কোরিয়া এখন তার দেশের ‘নিশ্চিত শত্রু’ হয়ে উঠেছে।’