ঘন কুয়াশার কারণে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া, আরিচা-কাজিরহাট ও ধাওয়াপাড়া-নাজিরগঞ্জ নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে মাঝপদ্মায় ছোট-বড় আটটি ফেরি আটকা পড়ে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এ নৌরুটের যাত্রী ও শ্রমিকরা।
মঙ্গলবার (০৩ জানুয়ারি) ভোর ৪টার দিকে ওই তিন নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করেন কর্তৃপক্ষ।
ঘাট কর্তৃপক্ষ জানান, সোমবার (০২ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ২টা থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া, আরিচা-কাজিরহাট ও ধাওয়াপাড়া-নাজিরগঞ্জ নৌরুটে কুয়াশা পড়তে শুরু করে। মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে কুয়াশার তীব্র আকার ধারণ করে। এ সময় ফেরি চলাচলের জন্য বিকনবাতি ও মার্কিং পয়েন্ট কিছুই দেখা যাচ্ছি না। এ সময় ওই তিন নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেন বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ। এতে মাঝপদ্মায় আটকা পড়ে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটের ফেরি ‘হাসনাহেনা’, ‘বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান’, ‘চন্দ্র মল্লিকা’, ‘জালাল’, কেটাইপ ফেরি ‘ফরিদপুর’ ও আরিচা-কাজীরহাটে আটকে পড়েছে ‘রোকেয়া’, ‘সফিয়া’ এবং ধাওয়াপাড়া-নাজিরগঞ্জ নৌরুটে ফেরি ‘কদম’।
মো. ফরহাদ আলী নামে এক যাত্রী জানান, টাঙ্গাইলের মধুপুর এলাকা থেকে এসেছেন তিনি; যাচ্ছেন চন্দ্রপাড়া। এতে রাত ৩টার দিকে তিনি পাটুরিয়া ৫নং ঘাটে আসেন। কনকনে শীতে কষ্ট হচ্ছে তার। অতি প্রয়োজনীয় কাজে রওনা হয়েও গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন না তিনি।
মো. আনোয়ার হোসেন নামে আরেক যাত্রী জানান, ঘাটে এসেছেন রাত সাড়ে ৩টায়। কিন্তু কুয়াশার কারণে কিছুই দেখা যাচ্ছে না। সকালে খাবারসহ টয়লেটের সমস্যায় পড়েছেন। এ অবস্থা শত শত যাত্রী ও যানবাহন শ্রমিকদের।
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটের এজিএম মো. সালাম মিয়া জানান, ঘাটে যানবাহন থাকলেও নেই যানজট। মাঝ নদীতে রয়েছে পাঁচটি ফেরি।
আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটের ব্যবস্থাপক মো. আলমগীর হোসেন জানান, এ নৌরুটে দুটি ও নাজিরগঞ্জ-ধাওয়াপাড়া নৌরুটে একটি ফেরি মাঝ নদীতে আটকে রয়েছে। ফলে তিন নৌরুটে ১৬০টি যানবাহন নিয়ে ছোট-বড় আটটি ফেরি আটকে রয়েছে।