মার্কিন পারমাণবিক সম্পদ ব্যবহার করে সম্ভাব্য যৌথ পরিকল্পনা ও মহড়া নিয়ে আলোচনা করছে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র। এ কথা জানিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল।
উত্তর কোরিয়ার ক্রমবর্ধমান পারমাণবিক এবং ক্ষেপণাস্ত্র হুমকির মুখে এ মহড়ার আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছেন ইউন সুক-ইওল। সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, সোমবার (২ জানুয়ারি) দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম চোসুন ইলবোর সঙ্গে সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন তিনি।
প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল বলেছেন, মার্কিন মিত্রদের ওপর আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য মার্কিন পারমাণবিক শক্তির ক্ষমতা পরখ করে দেখাই এই মহড়ার লক্ষ্য। ইউন বলেন, ‘পারমাণবিক অস্ত্রগুলো যুক্তরাষ্ট্রের। তবে পরিকল্পনা, তথ্য ভাগাভাগি, অনুশীলন ও প্রশিক্ষণ দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যৌথভাবে পরিচালিত হওয়া উচিত।’
ইউনের এই মন্তব্যের একদিন আগে উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন নতুন আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) এবং পারমাণবিক অস্ত্র উন্নয়নের আহবান জানিয়েছেন। কিম গত সপ্তাহে ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির এক বৈঠকে বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া এখন তার দেশের ‘নিশ্চিত শত্রু’ হয়ে উঠেছে।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় মিডিয়ায় কিমের এই বক্তব্য ও পরিকল্পনা সামনে আসার একদিন পরই গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে পারমাণবিক সম্পদ ব্যবহার করে সম্ভাব্য যৌথ পরিকল্পনা ও মহড়া নিয়ে মন্তব্য করলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল। দুই কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক বেশ কয়েকবছর ধরে কিছুটা স্বাভাবিক ছিল। তবে গত বছরের মে মাসে ইউন দায়িত্ব নেয়ার পর উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে।
পারমাণবিক মহড়া নিয়ে ইউনের মন্তব্য উত্তর কোরিয়ার প্রতি তার কঠোর অবস্থানের সবশেষ নির্দশন। গত সপ্তাহে উত্তর কোরিয়ার ড্রোন দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রবেশের পরে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হওয়ার জন্য সেনাবাহিনীকে আহ্বান জানান ইউন। উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের।