প্রেম করে বিয়ে করেছিল ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরীমনি । কিন্তু এ বিয়ের সুখ বেশিদিন টিকবে কি-না তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। পরীমণির ফেসবুকে দেয়া একটি স্ট্যাটাসে সে রকমই ধারণা করছেন নেটিজেনরা।
অভিনেতা শরীফুল রাজের সঙ্গে ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর ১০১ টাকা দেনমোহরে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন পরীমনি। এ বছর ১০ আগস্ট ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে এক পুত্রসন্তানের জন্ম দেন তিনি। একমাত্র ছেলে রাজ্য আর স্বামী রাজকে নিয়ে সুখের সংসারই ছিল এই সুন্দরী অভিনেত্রীর।
তবে হঠাৎই রাজপরীর সংসারে ভাঙনের সুর বেজে ওঠে। ৩০ ডিসেম্বর (শুক্রবার) মধ্যরাতে পরীর একটি স্ট্যাটাসে তাদের বিচ্ছেদের ইঙ্গিত বেশ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
স্ট্যাটাসে পরী লিখেছেন, ‘আমি আজ রাজকে আমার জীবন থেকে ছুটি দিয়ে দিলাম এবং নিজেকেও একটা অসুস্থ সম্পর্ক থেকে মুক্ত করলাম। জীবনে সুস্থভাবে বেঁচে থাকার তুলনায় জরুরি আর কিছু নেই।’
শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজের বাসা থেকে ছেলে রাজ্যকে নিয়ে বের হয়ে আসেন পরী। সন্তানকে নিয়ে বর্তমানে তিনি তার নিজের বাসাতেই আছেন।
রাজের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি প্রসঙ্গে পরী বলেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরেই সমস্যা হচ্ছিল। সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে একসঙ্গে থাকার চেষ্টা করেছি। তবে সমস্যা কাটিয়ে আর থাকতে পারলাম না। রাজের আচার-আচরণে একসঙ্গে থাকার পরিস্থিতি আর নেই। তাই বাধ্য হয়ে বাসা ছেড়ে আলাদা হয়ে গেলাম।’
পরীমনি আরও বলেন, ‘আমার মনমানসিকতা এখন ভালো নেই। এর বেশি আর কিছু বলতে পারছি না।’ রাজের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছে কি-না এমন প্রশ্নে পরী জানান, এখনও বিচ্ছেদ হয়নি। তবে সম্পর্ক ছিন্ন করে আজ থেকে আলাদা থাকছেন তারা। খুব শিগগিরই আইনের মাধ্যমে রাজকে ডিভোর্স লেটার পাঠাবেন তিনি।
ডিভোর্স প্রসঙ্গে পরীর স্বামী অভিনেতা শরীফুল রাজ কিছু না বললেও মুখ খুলেছেন রাজের বাবা মুসলিম মিয়া। তিনি বলেন, শুটিং শেষ করে রাজের বাসায় ফিরতে প্রায়ই দেরি হয়। যা নিয়ে পরীর সঙ্গে রাজের প্রায়ই ঝগড়া হয়। আর এ কারণে রাগ করেই পরী বাসা ছেড়ে চলে গেছে। আর এমন স্ট্যাটাস দিয়েছেন বলেও দাবি রাজের বাবার।
রাজের বাবা আরও বলেন, ‘পরী এখন কিছুটা অভিমান করে থাকলেও তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ হওয়ার আশঙ্কা নেই। রাজ-পরী ও আমরা সবাই একসঙ্গেই আছি। আশাকরি ওদের দুজনের সম্পর্ক সুন্দর থাকবে।’