দেশে কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে নতুন অস্বস্তি ওমিক্রনের নতুন ধরন বিএফ.৭। এর প্রভাবে বিভিন্ন দেশে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার কারণেই ভাবতে হচ্ছে নতুন করে। এখনো টিকা না নেয়া ব্যক্তিদের টিকা নিশ্চিতের পাশাপাশি বুস্টার ডোজের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। পরামর্শ দিচ্ছেন সবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর।
দেশে ওমিক্রন নতুন ধরন বিএফ সেভেন শনাক্ত হলেও কোভিড পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণেই বলা হয়। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে আক্রান্তের হারও এক শতাংশের ঘরে। কোভিড হাসপাতালগুলোতেও নেই তেমন কোনো চাপ।
তবে উড়িয়ে দেয় না কোনো শঙ্কাই। চীন, ভারতসহ বেশ কয়েকটি দেশে কোভিডের ঊর্ধ্বগতির জন্য বিএফ-সেভেন দায়ী বলে ধারণা করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, ওমিক্রনের আগের উপধরনের থেকে চার গুণ বেশি সংক্রামক বিএফ.৭। এমন পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, সম্ভাব্য সব ধরনের ঝুঁকি মাথায় রেখেই সাজাতে হবে কর্মকৌশল। জোর দিতে হবে টিকার ওপর।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. বে-নজীর আহমেদ বলেন, ‘চীনে কড়া নিয়মকানুনের মধ্যেও যদি সংক্রমণ ছড়ায়, তাহলে আমাদের একটু উদ্বেগের বিষয় আছে। আমাদের ঝুঁকির কারণ হলো, কিছু লোক একেবারেই টিকা পায়নি। আবার অনেক লোক দুই ডোজ টিকা নিয়েছে। কিন্তু বুস্টার ডোজ নেয়নি। এ ছাড়া শিশুদেরও দুই ডোজ দেয়া সম্ভব হয়নি। তাই আমাদের পদক্ষেপ নেয়া উচিত, তাদের দ্রুত টিকা দেয়া।’
স্বাস্থ্য অধিদফতর বলছে, নেয়া হয়েছে সব ধরনের সতর্কতামূলক প্রস্তুতি। তবে সাধারণ মানুষকেও হতে হবে সচেতন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর বলেন, ‘হাসপাতালগুলোর সঙ্গে সভা করেছি। আমরা সবগুলোকে অন বোর্ড রেখেছি। সমস্যা দেখলেই অন করে দেব। বুস্টার ডোজের ব্যাপারে সারা দেশে অধিদফতর থেকে বলা হচ্ছে। তবে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হচ্ছে, অনেকে তো মাস্ক পরা ছেড়েই দিয়েছে। কিন্তু মাস্ক পরতে হবে।’
তবে সতর্কতা যেন আতঙ্কে রূপ না নেয়, সে বিষয়টিও মাথায় রাখার পরামর্শ সংশ্লিষ্টদের।