যশোরে যৌতুকের দাবিতে শাহাজাদী আক্তার (৩৫) নামে এক নারী পুলিশ কর্মকর্তাকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালে ভর্তি ভুক্তভোগী নারী পুলিশ কর্মকর্তা শাহজাদী আক্তার।
ওই নারীর অভিযোগ, তার স্বামী ঝিনাইদহ পিবিআই ইন্সপেক্টর কামরুজ্জামান ছুটিতে বাড়ি এসে তার ওপর নির্যাতন চালায়।
হাসপাতালে ভর্তি যশোর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জিআরও এসআই শাহজাদী আক্তার জানান, কামরুজ্জামানের সঙ্গে ২০০০ সালে তার বিয়ে হয়েছে। তাদের দাম্পত্য জীবনে দুটি ছেলে আছে। তারা স্কুল-কলেজে লেখাপড়া করে। কামরুজ্জামান প্রায়ই যৌতুকের জন্য তাকে শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতন করে। যে কারণে তিনি কামরুজ্জামানের নামে যৌতুকের মামলা করেন। ছুটিতে বাড়ি আসার পর শুক্রবার রাতে কামরুজ্জামান মামলা তুলে নিতে এবং খুলনায় তার নামে থাকা একটি জমি লিখে দিতে চাপ দেয়। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় কামরুজ্জামান তাকে ছুরি দিয়ে একের পর এক আঘাত করতে থাকে। ঠেকাতে গেলে মাথায়, বামহাতে তলপেটে লাগে। এরপর কাঠের লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পেটানোর পাশাপাশি নিচে ফেলে জুতা পরে সারা শরীরের পাড়া দিয়েছেন। ছেলেরা ও কাজের মেয়ে টের পেলে সে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় তিনি ন্যায় বিচার দাবি করেন।
এ দিকে যশোর জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডা. আব্দুস সামাদ জানান, এসআই শাহাজাদীকে গুরুতর অবস্থায় আনা হয়েছে। তার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তিনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধায়নে আছেন। তিনি আশঙ্কামুক্ত নন।
এ বিষয়ে যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি তাজুল ইসলাম বক্তব্য দিতে রাজি হননি। তিনি শুধু বলেন, এটি আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়।
অবশ্য অভিযুক্ত পুলিশ ইন্সপেক্টর কামরুজ্জামান অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ঘটনার সময় আমি ছোট ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে বই কিনতে গিয়েছিলাম। শাহাজাদী কুপ্রবৃত্তিতে আসক্ত। প্রতিবাদ করায় সে নানাভাবে আমাকে হেনস্তা করার চেষ্টা চালায়। এ ঘটনাও তার সৃষ্ট।