ফিলিস্তিনে ইসরাইলি দখলদারিত্বের বিষয়ে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত বা বিশ্ব আদালতের মতামত চেয়েছে জাতিসংঘ। ১৯৩ সদস্য বিশিষ্ট জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরাইলি দখলের আইনি পরিণতি কী হতে পারে সে বিষয়ে মতামত জানতে চেয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে একটি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। প্রস্তাবটির পক্ষে যায় ৮৭ ভোট, বিপক্ষে ২৪ এবং ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকে ৫৩টি দেশ।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ বিশ্ব আদালতকে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরাইলি দখল, সংযুক্তকরণ এবং বসতি নির্মাণসহ পবিত্র নগরী জেরুজালেমের জনমিতির চরিত্র এবং ঘনত্ব পরিবর্তনসহ এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বৈষম্যমূলক আইন ও পদক্ষেপের ব্যাপারে মতামত দিতে অনুরোধ করেছে।
জাতিসংঘের প্রস্তাবে কীভাবে এই ইসরাইলের এসব নীতি এবং এর অনুশীলন কীভাবে দখলদারত্বের আইনি অবস্থাকে প্রভাবিত করে এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে কী ধরনের আইনি পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে সে বিষয়েও খতিয়ে দেখে পরামর্শ দিতে অনুরোধ করা হয়েছে।
এর আগে, বিশ্ব আদালত ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ে সবশেষ রুল জারি করেছিল ২০০৪ সালে। সে সময় সীমান্তে ইসরাইলি কাঁটাতারের বেড়াকে অবৈধ বলে রায় ঘোষণা করেছিল বিশ্ব আদালত। তবে ইসরাইল সেই রায় প্রত্যাখ্যান করেছিল।
বিশ্ব আদালত রাষ্ট্রসমূহের বিবাদের ক্ষেত্রে রায় দিতে পারে। রাষ্ট্রসমূহ সেসব রায় মানকে বাধ্যও। তবে বিশ্ব আদালতের নিজস্ব কোনো শক্তি নেই এসব রায় বাস্তবায়নের।
এর আগে, ১৯৬৭ সালের আরব ইসরাইল যুদ্ধের পর ইসরাইল ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর, গাজা এবং পূর্ব জেরুজালেম দখল করে নেয়। পরে ২০০৫ সালে গাজা থেকে দখল তুলে নিলেও গাজা উপত্যকাকে চারদিক থেকে বেষ্টন করে রাখে।
এদিকে, জাতিসংঘের নিযুক্ত ইসরাইলি রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান জাতিসংঘের এমন উদ্যোগের পর এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘কোনো আন্তর্জাতিক কর্তৃপক্ষই নির্ধারণ করে দিতে পারে না যে, ইহুদি জনগণ নিজেদের ভূখণ্ডে দখলদার। তাই নৈতিকভাবে দেউলিয়া এবং রাজনৈতিকভাবে দখল হয়ে যাওয়া জাতিসংঘের বিচারিক প্রতিষ্ঠান থেকে আসা যেকোনো রায়ই অবৈধ।