কাতার বিশ্বকাপে কিলিয়ান এমবাপ্পের দারুণ পারফর্মের পরও ফাইনাল লড়াইয়ে শিরোপা হাতছাড়া হয়ে যায় ফ্রান্সের। আর্জেন্টিনার কাছে হারের সেই যন্ত্রণা এখনও রয়ে গেছে ফরাসি সুপারস্টারের। পাশাপাশি সেই যন্ত্রণা কখনও ভোলার নয় বলেও স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিলেন ফরাসি ফরোয়ার্ড।
মরুর বুকে বিশ্বকাপ ফাইনালে অনবদ্য হ্যাটট্রিক করেছিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। গত ১৮ ডিসেম্বর রাতে লিওনেল মেসিদের বিপক্ষে দারুণ লড়াই করেও টাইব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানে হেরে যায় ফরাসিরা।
বিশ্বকাপে ৭ ম্যাচ খেলে আট গোলের পাশাপাশি দুটি গোলে সহায়তা করেন এমবাপ্পে। জিতে নিয়েছেন বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার গোল্ডেন বুট। তবে ফাইনালে দল হেরে যাওয়া এ সব অর্জনে খুশি নন তিনি।
হারের ক্ষত ভুলতে পিএসজির পক্ষ থেকে ছুটি দেয়া হলেও নেননি এমবাপ্পে। বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে স্ট্রাসবার্গের বিপক্ষে ২-১ গোলে জয় পেয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। এ ম্যাচেও গোল করেন এমবাপ্পে।
ম্যাচের ৯৬তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে পিএসজিকে ২-১ ব্যবধানে জয় এনে দেন এমবাপ্পেই। ম্যাচ শেষে সাংবাদিকরা ২৪ বছর বয়সী এই তারকাকে প্রশ্ন করেছিলেন, বিশ্বকাপের ফাইনালের সেই হার তিনি কি মেনে নিতে পেরেছেন?
উত্তরে এমবাপ্পে বলেন, ‘বিশ্বকাপের ফাইনালের ওই হার আমি কখনোই মেনে নিতে পারব না। তবে আমি পিএসজির কোচ ও সতীর্থদের বলেছি, জাতীয় দলের ব্যর্থতার জন্য ভুগবে না পিএসজি। ফ্রান্সের হারের জন্য পিএসজি দায়ী নয়। যে কারণে আমি সর্বোচ্চ আত্মবিশ্বাস নিয়ে ইতিবাচকভাবে ফিরেছি।’
রাশিয়ায় ২০১৮ সালেই বিশ্বকাপ শিরোপা জেতেন এমবাপ্পে। এবার কাতারে তার প্রতিপক্ষ ছিলেন পিএসজি সতীর্থ আর্জেন্টিনার মেসি। ফাইনালের পরেই মেসির সঙ্গে কথা হয় তার।
এমবাপ্পে বলেন, ‘ম্যাচের পর মেসির সঙ্গে আমার কথা হয়। তাকে অভিনন্দন জানিয়েছি। কারণ, গোটা ক্যারিয়ারজুড়ে সে এটার পেছনেই ছুটেছে। তবে শিরোপা ধরে রাখার যথেষ্ট চেষ্টা ছিল আমারও। কিন্তু এবার আমি পারিনি।’