পেলে মারা গেছেন তা যেন এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না ব্রাজিলের মানুষের। সবার বিশ্বাস ছিল লড়াই করে আবার নিজ বাড়ি ফিরবেন তিনি। তবে এবার আর ফেরা হলো না তার। না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন পেলে। যার জন্য দেশটির সরকার তিনদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করে। এই সময়টাতে সকলে ছুটি কাটাতে না গিয়ে সবাই সাও পাওলোতে ফিরছেন পেলেকে শেষবারের মতো বিদায় জানাতে।
ফুটবল সম্রাট পেলের মৃত্যুর খবর শোনার পর থেকেই অ্যালবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালের সামনে ভিড় করেন সমর্থকরা। তার মৃত্যু যেন এখনও কেউ মেনে নিতেই পারছেন না। তাই দেশের এমন এক শোকাহত সময়ে কেউই দেশ ছেড়ে ছুটি কাটাতে বাইরে যাচ্ছেন না। বরং অন্য শহর থেকে সবাই ছুটছে সাও পালোর দিকে।
এদিকে প্যারিস থেকে আসতে পারেন নেইমারও। জানা গেছে, ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনোসহ সারা বিশ্বের অসংখ্য গণ্যমান্য অতিথিরাও পেলের শেষযাত্রা আসবেন।
৮২ বছর বয়সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়া এই মহাতারকাকে শায়িত করা হবে সান্তোস ফুটবল ক্লাবের স্টেডিয়াম ভিলায়। ক্লাবের পক্ষে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সর্বসাধারণের শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের জন্য ‘ফুটবলের রাজার’ মরদেহ ২৪ ঘণ্টা রাখা হবে স্টেডিয়ামের মাঝমাঠে। পরদিন তার মরদেহ নিয়ে ‘শেষযাত্রা’ হবে সান্তোসের রাস্তায়। কফিন বহন করে নিয়ে যাওয়া হবে কেলেস্তের সড়কে, যেখানে পেলের মা থাকেন।
সোমবার (২ জানুয়ারি) পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে পেলের কফিনবন্দি দেহ নিয়ে যাওয়া হবে সান্তোসের মেমোরিয়াল নেক্রোপোল ইকুমেনিকাতে। অনুরাগীরা সেখানেই শেষবারের মতো শ্রদ্ধা ও বিদায় জানাতে পারবেন এই কিংবদন্তিকে। এরপর পেলেকে মেমোরিয়া নেকরোপোল একিউমেনিকা নামের সমাধিস্থলে পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে সমাহিত করা হবে।