ইউক্রনেজুড়ে আবারও রুশ বাহিনীর একযোগে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর দেশটির বেশিরভাগ অঞ্চলে শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) দেখা দিয়েছে বিদ্যুৎবিভ্রাট। ব্ল্যাকআউটের কবলে পড়েছেন লাখ লাখ মানুষ। পুনরায় হামলার আশঙ্কায় রাজধানী কিয়েভের বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। খবর রয়টার্সের।
বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) রুশ বাহিনীর একযোগে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ধ্বংসের নগরীতে পরিণত হয়েছে রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনের প্রধান শহরগুলোর বেশিরভাগ এলাকা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু অবকাঠামো ও স্থাপনা, ধসে পড়েছে আসাবিক ভবন। ঘরবাড়ি হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিতে দেখা গেছে বহু বাসিন্দাকে।
কেবল আবাসিক এলাকা নয়, এদিন হামলার শিকার হয় ইউক্রেনের একাধিক জ্বালানি স্থাপনা। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানান, বৃহস্পতিবার দিনভর হামলার পর এরই মধ্যে ব্ল্যাকআউটের কবলে পড়েছে কিয়েভসহ প্রধান শহরগুলোর বেশিরভাগ এলাকা। কিয়েভসহ অন্যান্য প্রধান শহরগুলোর বর্তমান পরিস্থিতি অত্যন্ত কঠিন বলেও জানান তিনি।
জেলেনস্কি বলেন, পরিস্থিতি অত্যন্ত কঠিন। কিয়েভ, লাভিভ, ওডেসা, খেরসন, জাপোরিঝিয়া প্রায় প্রতিটি অঞ্চলেই অবকাঠামোগত ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পেয়েছি আমরা। এরই মধ্যে বহু এলাকা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। যতদ্রুত সম্ভভ ওইসব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছি আমরা।
এদিকে কিয়েভের মেয়র অভিযোগ করেছেন, ইংরেজি নববর্ষের আগে ইউক্রেনবাসীর জীবন দুর্বিসহ করতেই দেশজুড়ে একযোগে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে পুতিন বাহিনী। কিয়েভ লক্ষ্য করে অর্ধশতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হলেও ইউক্রেন সেনাবাহিনী এরই মধ্যে অন্তত ১৬টি প্রতিহত করতে সক্ষম হয় বলেও দাবি করেন তিনি। আবারও হামলার আশঙ্কায় এরই মধ্যে কিয়েভের বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেয়ার নির্দেশও দেন কিয়েভের এই মেয়র।
এদিকে ইউক্রেনের বর্তমান পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল উল্লেখ করে দেশটিকে ইউরোপের মধ্যে সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করেছে আন্তর্জাতিক সংস্থা রিপোর্টার্স উইদআউট বর্ডার্স। যুদ্ধ শুরুর পর এ পর্যন্ত ইউক্রেনে ৮ সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছে বলেও সংস্থাটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়।