মালিতে আইভরি কোস্টের ৪৬ জন সেনার বিচার কার্যক্রম শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) পুনরায় শুরু হয়েছে। এ সেনাদের আটকের ফলে উভয় দেশের মধ্যে ব্যাপক কূটনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়। বিচার বিভাগীয় একটি সূত্র এ তথ্য জানায়।
পশ্চিম আফ্রিকার নেতাদের মালিকে সৈন্যদের মুক্তি অথবা নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি করার হুমকির প্রেক্ষাপটে আগামী ১ জানুয়ারির সময়সীমা নির্ধারণে বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) রাজধানী বামাকোতে তাদের বিচার শুরু হয়।
সূত্রটি জানায়, শুক্রবার ৪৬ আইভরিয়ান সৈন্য নিয়ে দুটি মিনিবাস বামাকোর আপিল আদালতে পৌঁছেছে।
গত ১০ জুলাই বামাকো বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর আইভরি কোস্টের ৪৯ সেনাকে আটক করা হয়। পরে তিনজনকে মুক্তি দেয়া হয়, যাদের সবাই ছিল নারী।
মালির জান্তা সরকার তাদের ‘ভাড়াটে সেনা’ হিসেবে অভিহিত করে এবং অবশিষ্ট সৈন্যদের বিরুদ্ধে পরের মাসে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার প্রচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়।
আইভরি কোস্ট এবং জাতিসংঘ বলেছে, মালিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের জার্মান দলকে রুটিন ব্যাকআপ নিরাপত্তা প্রদানের জন্য সৈন্য পাঠানো হয়েছিল।
সংকটের বিষয়ে আলোচনার জন্য একটি আইভারিয়ান প্রতিনিধিদল গত সপ্তাহে মালি ভ্রমণ করে এবং আইভোরি কোস্টের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে যে বিষয়টি সমাধানের পথে।
এএফপির একজন সাংবাদিকের বরাতে জানা যায়, রুদ্ধদ্বার কক্ষে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে বৃহস্পতিবারের (২৯ ডিসেম্বর) শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
ইকোনমিক কমিউনিটি অব ওয়েস্ট আফ্রিকান স্টেটস (ইকোওয়াস) ৪ ডিসেম্বর এই সৈন্যদের মুক্তির জন্য নববর্ষের দিন পর্যন্ত সময়সীমা নির্ধারণ করে, যা অতিক্রান্ত হলে ব্লক মালির বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে।