খেলার ছলে শিশুদের মাঝে বৈশ্বিক উষ্ণতাবিষয়ক সচেতনতা বাড়াতে মিশরে হয়ে গেল এক ব্যতক্রমী প্রতিযোগিতা। যেখানে খেলনা লেগো দিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানি সংশ্লিষ্ট নানা কাঠামো তৈরি করে প্রদর্শন করে ছোট ছোট শিশুরা। শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) ডেইলি সাবাহ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে।
বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বেড়ে যাওয়া এবং ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে তৈরি হওয়া জ্বালানি সংকটের কারণে বিশ্বজুড়েই বাড়ছে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যাপারে আগ্রহ। পরিবেশবান্ধব জ্বালানি ব্যবহারের নিত্যনতুন উপায় উদ্ভাবনে ব্যস্ত প্রযুক্তিবিদরা। নতুন প্রজন্মের মধ্যেও এ ব্যাপারে সচেতনতা তৈরিতে নেয়া হচ্ছে নানা উদ্যোগ।
এরই ধারাবাহিকতায় পিরামিডের নগরী হিসেবে পরিচিত মিশরের গিজার গ্রান্ড ইজিপশিয়ান মিউজিয়ামে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয় ফার্স্ট লেগো লিগ ইজিপ্ট চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতা। সেখানে লেগো দিয়ে উইন্ড মিল থেকে শুরু করে সৌরবিদ্যুৎচালিত গাড়িসহ নানা ধরনের নবায়নযোগ্য জ্বালানিনির্ভর কাঠামো তৈরিতে মেতে ওঠে খুদে প্রযুক্তিবিদরা।
৮০টি দলে বিভক্ত হয়ে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় মিশরের নয়টি প্রদেশের চার শতাধিক বাচ্চা। প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে অংশ নেয়ার আগে নিজেদের স্কুলে তাদের প্রজেক্টের ব্যাপারে তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে প্রস্তুতি নেয় তারা।
ফার্স্ট লেগো লিগ ইজিপ্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রতিনিধি আইমান আল কাবানি বলেন, এই শিশুরা নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের নানা উপায় উদ্ভাবনের মাধ্যমে কিভাবে তার ব্যবহার করতে পারে এর প্রদর্শনই ছিলো এবারের আসরের মূল উদ্দেশ্য। ছোট ছোট শিশুরা যে নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিষয়টি উপলব্ধি করতে পারছে এটাই এই আয়োজনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।
ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে প্রতিযোগিতায় মনের আনন্দে লেগোর তৈরি নানা কাঠামো তৈরি করছিল ছোট ছোট শিশুরা। শিশুদের নিয়ে এই ধরনের প্রতিযোগিতায় আসতে পেরে উচ্ছ্বসিত অভিভাবকরাও।
অংশগ্রহণকারী এক শিশুর অভিভাবক রানদা আমিন বলেন, এখানে খেলার ছলে নবায়নযোগ্য জ্বালানি সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারছে শিশুরা। পাঁচ ছয় বছর বয়সী শিশুদের জন্য এত সব জানার সুযোগ পাওয়াটা তাদের জন্য ভালো অভিজ্ঞতা। এখান থেকে পাওয়া জ্ঞান ভবিষ্যতে দেশ ও সমাজের কাজে লাগাতে পারবে তারা।
নবায়নযোগ্য জ্বালানির পাশাপাশি কিভাবে একটি দল হিসেবে কাজ করতে হয় তিন মাসের প্রশিক্ষণে তাও শেখানো হয় অংশ নেয়া শিশুদের। প্রযুক্তি জ্ঞানের পাশাপাশি শিশুদের ইতিবাচক মানসিকতা তৈরির ওপরও গুরুত্ব দেন আয়োজকরা।