চীনের সঙ্গে রাশিয়ার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বর্তমানে ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ পর্যায়ে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। শি জিন পিংয়ের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) তিনি এ কথা বলেন। চীনা প্রেসিডেন্টকে নতুন বছরে মস্কো সফরের আমন্ত্রণও জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। খবর সিএনএনের।
সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়, দুই দেশের সামরিক ও বাণিজ্যিক খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর জোর দেন দুই নেতা। এদিকে মস্কো-বেইজিং ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে ওয়াশিংটন।
গত সেপ্টেম্বরে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের মুখোমুখি বৈঠকের সাড়ে তিন মাস ব্যবধানে ভার্চুয়াল বৈঠকে মিলিত হলেন দুই নেতা। যে কোনো সংকট মোকাবিলাসহ বৈশ্বিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় যৌথভাবে কাজ করার বিষয়ে একমত হন তারা।
আঞ্চলিক সমস্যাসহ তারা কথা বলেন, দুই দেশের কাছে গুরুত্বপূর্ণ সব বিষয় ও রুশ-চীনা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে। এ সময় চীন-রাশিয়ার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বর্তমানে ইতিহাস সেরা বলে মন্তব্য করেন পুতিন। আগামী বছর চীনা প্রেসিডেন্টকে মস্কো সফরের আমন্ত্রণও জানান রুশ প্রেসিডেন্ট।
রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, ইতিহাসে চীন রাশিয়া সম্পর্ক বন্ধুত্বের একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। কঠিন সময়ে রাশিয়ার পাশে থাকার জন্য চীনের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। আমাদের মধ্যে সামরিক ও বাণিজ্যিক খাতে সহযোগিতা আরও বাড়াতে হবে।
এদিকে রাশিয়ার সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক জোরদারে চীন প্রস্তুত বলে জানান প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
ইউক্রনেসহ নানা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বন্দ্বের মধ্যেই দুই পরাশক্তি রাশিয়া-চীনের আবারও একাট্টা অবস্থানের কয়েক ঘণ্টা না পেরোতেই, ওয়াশিংটন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে মস্কো-বেইজিং ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক উদ্বেগজনক।
এ ছাড়া বিশ্লেষকরা বলছেন, চলমান ইউক্রেন যুদ্ধে মস্কোর প্রতি জোরালো সমর্থন আদায়ের লক্ষ্যেই চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য জাতিসংঘে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ রাশিয়ার প্রতি নিন্দা জানালেও বিরত থাকে চীন। এই পরিস্থিতির জন্য পশ্চিমা দেশগুলো ও ন্যাটোকে দোষারোপ করে আসছে বেইজিং।