সাপ্তাহিক ও বড়দিন উপলক্ষে টানা ৩ দিনের ছুটিতে পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে বান্দরবানের পর্যটন কেন্দ্রগুলো। পাহাড়ে জঙ্গি বিরোধী অভিযানের কারণে নিষেধাজ্ঞার ফলে শীত মৌসুমের শুরুতে পর্যটকের সমাগম না ঘটলেও টানা ছুটি থাকায় ও নিষেধাজ্ঞা শিথিল করায় প্রচুর পর্যটকের সমাগম ঘটেছে বান্দরবানে।
শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) মেঘলা, নীলাচল, শৈলপ্রপাত, চিম্বুক, নীলগিরি, নীল দিগন্তসহ জেলার বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখা যায় সবগুলো দর্শনীয় স্থানে পর্যটকের উপচে পড়া ভিড়। পর্যটকরা পরিবার-পরিজন বন্ধু-বান্ধব নিয়ে চাঁদের গাড়িতে করে ছুটে বেড়াচ্ছে এক পাহাড় থেকে আরেক পাহাড়ে। কেউ বা ছুটে যাচ্ছে রেমাক্রি-নাফাকুমের সৌন্দর্য দেখতে আবার কেউ যাচ্ছে সুউচ্চ পাহাড়ের সৌন্দর্য দেখতে। এক কথায় সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পর্যটকরা চষে বেড়াচ্ছে বান্দরবানের সব দর্শনীয় স্থানগুলো।
ঢাকা থেকে ঘুরতে আশা নিলয় বলেন, নগর জীবনের ব্যস্ততা ছেড়ে একটু প্রশান্তি নিতে পাহাড়ে ঘুরতে আসছি। আসলে পাহাড় এতটা সুন্দর হয়, যা স্ব-চোখে না দেখলে বোঝা যাবে না।
প্রিয়া নামে আরেক পর্যটক বলেন, আমি আমার বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে এসেছি। আমার এখানে এসে খুবই ভালো লাগছে।
এদিকে বান্দরবানে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দীর্ঘদিন আমাদের পর্যটন ব্যবসা বন্ধ ছিল। শীত মৌসুমের শুরুতে পর্যটক না আসলেও বড়দিন, সাপ্তাহিক ছুটি ও স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় টানা ছুটিতে অনেক পর্যটকের সমাগম ঘটেছে। সামনের দিনগুলোতে আরও পর্যটকের সমাগম ঘটবে বলেও আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।
বান্দরবান জেলার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নকিবুল ইসলাম জানান, সাপ্তাহিক ও বড়দিন উপলক্ষে টানা ৩ দিনের ছুটি থাকায় বান্দরবানে প্রচুর পর্যটক এসেছে। প্রতিটি স্পটে সার্বক্ষণিক পোশাক এবং সাদা পোশাকে আমাদের ট্যুরিস্ট পুলিশের টহল টিম কাজ করে যাচ্ছে। যাতে করে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত পর্যটকরা নির্বিঘ্নে ঘোরাফেরা করতে পারে। যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আমরা সর্বদা প্রস্তুত আছি বলে জানান ট্যুরিস্ট পুলিশের এ কর্মকর্তা।
জেলায় পর্যটকদের সেবায় রয়েছে শতাধিক হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট, গেস্ট হাউস। এছাড়াও পর্যটক পরিবহনে রয়েছে ৪ শতাধিক চাঁদের গাড়ি, সব মিলিয়ে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জেলার ২০ হাজার মানুষ পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।