উত্তর কসোভোর মিত্রোভিকা শহরে ১৯ দিন ধরে সড়ক অবরোধ করে রাখে সার্ব বিক্ষোভকারীরা। বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের চাপে পড়ে ব্যারিকেড সরিয়ে নিতে সম্মত হয়েছে তারা।
আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, সার্ব বিক্ষোভকারীরা ব্যারিকেড সরিয়ে নিলে বেলগ্রেড ও প্রিস্টিনার মধ্যে উত্তেজনা প্রশমিত হতে পারে।
সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার ভুচিচ জানান, সার্বিয়ান শহর রাস্কায় উত্তর কসোভো থেকে সার্বদের সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই ব্যারিকেড সরিয়ে নেবে তারা। এটি একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া, এতে সময় প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, দ্বিপাক্ষিক সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য বেলগ্রেড এবং প্রিস্টিনার মধ্যে আলোচনার মধ্যস্থতা করছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তারা নিশ্চয়তা দিয়েছে যে, সড়ক অবরোধ স্থাপনকারী সার্বদের বিচারের আওতায় আনা হবে না।
উল্লেখ্য, গত ১০ ডিসেম্বর থেকে কসোভোর উত্তরাঞ্চলে সার্বরা মাত্রোভিকা শহরে প্রবেশ ও বের হওয়ার পথে একাধিকবার ব্যারিকেড বসায়। এ সময় সাবেক এক সার্ব পুলিশ সদস্যকে গ্রেফতারের পর পুলিশের সঙ্গে গুলিবিনিময়ের ঘটনাও ঘটে।
ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযানের কারণে এমনিতেই নানামুখী সংকটে ইউরোপ। এর মধ্যেই সার্বিয়া-কসোভো সীমান্তে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। আরও একটি যুদ্ধের শঙ্কায় বলকান অঞ্চল। গেল ২৬ ডিসেম্বর জাতির উদ্দেশে দেয়া এক ভিডিওবার্তায় কসোভো সীমান্তে সেনা উপস্থিতি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার ভুচিচ।
আলবেনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ কসোভোর উত্তরাঞ্চলে প্রায় ৫০ হাজার সার্ব বসবাস করেন। ২০০৮ সালে সার্বিয়া থেকে আলাদা হয়ে কসোভোকে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা করা হয়। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ পশ্চিমা বিশ্বের বেশির ভাগ দেশ কসোভোকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিলেও সার্বিয়া এখনও তা মেনে নেয়নি। চীন ও রাশিয়া কসোভোকে সার্বিয়ার একটি প্রদেশ হিসেবে বিবেচনা করে থাকে। দীর্ঘদিনের সংঘাত বন্ধে কসোভোয় বর্তমানে ন্যাটোর শান্তিরক্ষী মোতায়েন রয়েছে।