চীনে নতুন করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় দেশটির বিভিন্ন প্রদেশের হাসপাতালগুলোতে বেডের সংকট দেখা দিয়েছে। রোগীর চাপ কমাতে অনলাইনে সেবা দেয়ার সুবিধা চালুর ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে দেশটিতে করোনা আবারও বাড়তে থাকায় চীনা যাত্রীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এরই মধ্যে চীন থেকে আসা যে কোনো ব্যক্তির জন্য করোনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করেছে জাপান, মালয়েশিয়া, ভারত ও তাইওয়ান। তবে বেইজিং বলছে, এখনো নিয়ন্ত্রণে আছে করোনা পরিস্থিতি।
‘জিরো কোভিড’ নীতির কঠোর বিধিনিষেধ শিথিলের পর থেকে চীনে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। বেসরকারি হিসাব বলছে, দৈনিক আক্রান্ত হচ্ছেন কয়েক লাখ মানুষ। গণমাধ্যমগুলোর দাবি পরিস্থিতি এতটাই নাজুক যে ভেঙে পড়তে পারে দেশটির স্বাস্থ্যব্যবস্থা।
চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন এনএইচসি দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রকাশ করা বন্ধ ঘোষণা করলেও দেশটির বিভিন্ন প্রদেশের হাসপাতালে রোগিদের ভিড় প্রতিদিনই বাড়ছে। বাড়তি রোগীর চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবার অনলাইনে রোগীদের সেবা দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। গুরুতর অসুস্থ নয় এমন রোগিদের হাসপাতালে না এসে অনলাইনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বাড়িতে অবস্থান করার পরামর্শ দিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ।
এমন পরিস্থিতিতে গত সোমবার বিদেশফেরত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনের বিধি বাতিলের ঘোষণা দেয় চীন। ৮ জানুয়ারি থেকে নতুন এই নিয়ম কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে। চীনা সরকারের এমন ঘোষণার পর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ছড়ানো নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।
সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে চীন থেকে আসা যেকোনো ব্যক্তির জন্য করোনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করেছে জাপান, মালয়েশিয়া, ভারত ও তাইওয়ান। বিবিসি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকেও চীন থেকে আসা ব্যক্তিদের ওপর নতুন কোভিড বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, চীনের করোনার সংক্রমণ ঘিরে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে। তাই তাদের সতর্ক থাকতে হচ্ছে।
তবে নিজেদের করোনা পরিস্থিতি এখনো উদ্বেগজনক নয় বরং নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই আছে বলে দাবি করেছে চীন। বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো চীনের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে অতিরঞ্জিত খবর প্রচার করছে। সাধারণ মানুষের চলাফেরা বাধাগ্রস্ত হয়, এমন পদক্ষেপ নেওয়া উচিত নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।