স্মরণকালের ভয়াবহ তুষারপাত আর তুষারঝড়ে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমাঞ্চলীয় ১১ রাজ্য। ঝড়ে অন্তত ৬২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে কেবল নিউইয়র্কেই মারা গেছেন ৩৪ জন। ঝড়ের কারণে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে হাজার হাজার ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদন মতে, তুষারঝড়ের কারণে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার মধ্যে প্রায় পাঁচ হাজার ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। ফলে হাজার হাজার যাত্রী বিমানবন্দরগুলোতে আটকে পড়েছে। জারি করা হয়েছে সতর্কতা। এদিকে তুষারঝড়ের কারণে কানাডার বিভিন্ন প্রদেশে ৩০ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি এখনো বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বাফেলো শহরের ওপর দিয়ে মঙ্গলবার বয়ে যাওয়া শক্তিশালী তুষারঝড় থেমে গেলেও রেখে গেছে তাণ্ডবের চিত্র। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঝড়ের সময় ১৪০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত তুষারপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ঘরবাড়ি রাস্তাঘাট তুষারে ঢেকে যাওয়ায় স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। হাজারো মানুষ বসবাস করছেন বিদ্যুৎহীন অবস্থায়।
ঝড়ের পর বুধবার সকাল থেকেই বাফেলোর রাস্তাঘাটের তুষার সরাতে কাজ শুরু করেন উদ্ধারকর্মীরা। দুই শতাধিক ট্রাকের সাহায্যে বরফ সরানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
তবে রাস্তায় বরফ জমে থাকায় যান চলাচলের ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। ঝড়ের সময় রাস্তায় বিকল হয়ে যাওয়া যানবাহন সরানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বাফেলোর পুলিশ। এদিকে ঝড়ের কারণে দেয়া জায়গায় জরুরি অবস্থার মধ্যেই অনেক জায়গায় লুটপাটের ঘটনাও ঘটেছে। নতুন করে উদ্ধার করা হয়েছে মরদেহ।
নিউইয়র্কসহ যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমাঞ্চলজুড়েই এখন একই অবস্থা বিরাজ করছে। তুষারের কারণে ব্যাহত হচ্ছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বাতিল করা হয়েছে কয়েক হাজার ফ্লাইট। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা। বিমানবন্দরগুলোতে লাগেজ নিয়ে দেখা দিয়েছে বিপত্তি।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি কানাডার অবস্থাও অপরিবর্তিত রয়েছে। ওন্টারিও ও কুইবেকের হাজার হাজার মানুষ এখনো বিদ্যুৎহীন রয়েছেন। এরই মধ্যে সংযোগ দিতে কাজ শুরু করা হয়েছে। তুষারপাতের কারণে ট্রেন যোগাযোগব্যবস্থা স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।