কাতার বিশ্বকাপ খেলতে এসে অন্য দলগুলো হোটেলে উঠলেও আর্জেন্টিনা বেছে নিয়েছিল কাতার বিশ্ববিদ্যালয়কে। লিওনেল মেসি ছিলেন ‘বি-২০১’ নামের একটি কক্ষে। সেই রুমটিই এখন রূপ বদলে ছোটখাটো একটা জাদুঘরে পরিবর্তিত হচ্ছে। খবর আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম এল গ্রাফিকোর।
আর্জেন্টিনার জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা যেসব ঘরে ছিলেন, সেই ঘরগুলোর কয়েকটি ছবি প্রকাশ করেছে কাতার বিশ্ববিদ্যালয়। একাধিক ছবি প্রকাশ করেই জানানো হয়েছে মেসির রুমটিকে প্রদর্শনীশালায় রূপান্তরিত করা হবে। তবে সেই মিউজিয়াম একই কমপ্লেক্স থেকে নাকি অন্য কোনো স্থান থেকে পরিচালনা করা হবে, সেটা জানা যায়নি।
এ সম্পর্কে কাতার ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ কর্মকর্তা আল হিতমি বলেছেন, ‘যে ঘরটিতে মেসি অবস্থান করেছিলেন, সেটি অপরিবর্তিত থাকবে। সেটি দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। তবে সেখানে আর কেউ থাকতে পারবেন না।’
পাঁচতারা অভিজাত হোটেলের বদলে কাতার ইউনিভার্সিটিতে মেসিদের থাকার আর একটি উদ্দেশ্য ছিল যাতে নিজেদের ঐতিহ্যবাহী বিফ বারবিকিউ বানানো যায় ইচ্ছেমতো। সে কারণেই প্যাকেটজাত গোমাংস নিয়ে আসা হয়েছিল আর্জেন্টিনা থেকে। একদম প্রথাগত আর্জেন্টাইন স্টাইলে যাতে রান্না করা হয়, তা দেখভাল করার জন্য শেফও নিয়ে এসেছিলেন মেসিরা।
কাতারে গত ১৮ ডিসেম্বর ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থের’ ফাইনালে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে শিরোপা জিতে নেয় আর্জেন্টিনা। নির্ধারিত ও অতিরিক্ত মিলিয়ে দুদলের ১২০ মিনিটের খেলা ৩-৩ গোলে ড্র হলে পেনাল্টি শুটআউটে নির্ধারণ হয় শিরোপার ভাগ্য। যেখানে ৪-২ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে ট্রফি নিজেদের করে নেয় আলবিসেলেস্তেরা।