ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম উপকূলে একের পর এক রোহিঙ্গাবাহী নৌকা উদ্ধারের পর গেল কয়েকদিনে সাগরে ডুবে ২০ রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে জাতিসংঘ।
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) আচেহ উপকূলে প্রায় একমাস ধরে ভাসমান অবস্থায় একটি নৌকা থেকে ১৭৪ রোহিঙ্গাকে উদ্ধারের পর নতুন করে ওই ২০ জনের মৃত্যুর খবর জানায় জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা। এদের বেশিরভাগই বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ইন্দোনেশিয়ায় যাচ্ছিলেন বলে জানা গেছে। খবর রয়টার্সের।
সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, প্রায় একমাস ধরে সাগরে ভাসমান অবস্থায় থাকার পর অবশেষে তীরের সন্ধান মিললেও, খাবার অভাব আর পানিশূন্যতায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ইন্দোনেশিয়ার আচেহ উপকূল থেকে উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গারা। ইন্দোনেশিয়ার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়াও উদ্ধার হওয়ার এসব রোহিঙ্গাদের অনেকেরই ঠাঁই মিলেছে স্থানীয় একটি স্কুলে। আর সেখানেই চলছে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা।
উদ্ধার হওয়া একজন রোহিঙ্গা বলেন, মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে এসে আমরা শরণার্থী হয়েছি। তাই একটু উন্নত জীবনের আশায় আমরা ইন্দোনেশিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করি।
আরেকজন বলেন, আমার বাবা মা সবাই মারা গেছে। সেখানে আমাদের অনেক অভাবে দিন কাটছিল। এজন্য একটু ভালো থাকার আশায় এখানে এসেছি।
এদিকে ইন্দোনেশিয়ার আচেহ উপকূলে একের পর এক রোহিঙ্গাবাহী নৌকা উদ্ধার হলেও গেল কয়েকদিনে সাগরে ডুবে ২০ রোহিঙ্গার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা।
শুধু তাই নয়, সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) ১৭৪ রোহিঙ্গা নিয়ে উদ্ধার হওয়া নৌকাটিই গেল দুদিন ধরে নিখোঁজ থাকা নৌকা বলেও নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ। উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদেরকে সাহায্যের জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।
সংবাদমাধ্যম জানায়, শত শত নির্যাতিত মুসলমান বহনকারী নৌকাগুলো ইন্দোনেশিয়ায় অবতরণ করেছে এবং অন্যরা ভারত মহাসাগরে ভেসে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে রোববার (২৫ ডিসেম্বর) আচেহ উপকূলে আরও ৫৭ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করা হয়। গেল নভেম্বরে আরও দুটি নৌকা থেকে উদ্ধার করা হয় অন্তত ২৩০ জনকে। এছাড়াও, চলতি মাসের শুরুতে শ্রীলঙ্কার উত্তর উপকূল থেকে শতাধিক রোহিঙ্গাসহ আরও একটি নৌকা উদ্ধার করে দেশটির নৌবাহিনী।