ভারত থেকে সাইকেল চালিয়ে বাংলাদেশ ভ্রমণে এসেছেন পাপ্পু রায়। তিনি পেশায় শিক্ষক, তবে ভ্রমণ তার বেশ প্রিয়।
পাপ্পু রায় নরেন রায়ের ছেলে। পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশপরগনা জেলার বারুইপুর থানার বেগমপুর এলাকার নিজ বাসা থেকে গত ২০ ডিসেম্বর ভোর ৪টায় সাইকেল ভ্রমণে বের হন পাপ্পু। ওই দিনই বেনাপোল বর্ডার পার হয়ে বাংলাদেশে ঢোকেন তিনি। তারপর বিভিন্ন জেলা ঘুরে সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) ময়মনসিংহে আসেন পাপ্পু।
এবারের ভ্রমণের মূলমন্ত্র ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সাইকেল অভিযান। ভারত-বাংলাদেশের ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করার বার্তা নিয়েই ছুটে চলেছেন তিনি।
এর আগে তিনি কলকাতা থেকে সাইকেল চালিয়ে বাংলাদেশ ছাড়াও কাঠমান্ডু, দার্জিলিং ভ্রমণ করেছেন।
পাপ্পু রায় জানান, করোনায় লকডাউনের সময় মূলত তিনি সাইকেল ভ্রমণের প্রেমে পড়ে যান। সে থেকেই শুরু সাইকেলে দেশ ভ্রমণ। বাংলাদেশে এ নিয়ে তার দ্বিতীয়বার আসা।
পাপ্পু বাংলাদেশে যশোর দিয়ে প্রবেশ করেছেন। পরে কুষ্টিয়া দিয়ে বেশ কয়েকটি জেলা হয়ে ময়মনসিংহ প্রবেশ করে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সাইকেল অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) নেত্রকোনা আসেন। রাতে মোহনগঞ্জে অবস্থান করে বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে তিনি ধর্মপাশা দিয়ে সুনামগঞ্জের দিকে রওনা হয়েছেন। এরপর সিলেট হয়ে ঢাকা গিয়ে দেশে ফিরবেন।
বাংলাদেশ সফরে সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা পাচ্ছেন উল্লেখ করে পাপ্পু বলেন, ‘যেখানেই যাচ্ছি সবাই আপনজনের মতো কাছে টেনে নিচ্ছেন। বাংলাদেশের প্রচুর মানুষের কাছ থেকে ভালোবাসা পেয়েছি। সাইক্লিং গ্রুপ থেকেও অনেক ভালোবাসা ও উৎসাহ পেয়েছি। সেই সহযোগিতা ও উৎসাহ নিয়েই আমি সাইকেল ভ্রমণটা করে যাচ্ছি।’
এদিকে এমন একজন উদার মনের মানুষকে পেয়ে নেত্রকোনার সাইকেল ভ্রমণকারীরাও বেশ উৎসাহী। মুক্তিযোদ্ধা বিমল পাল ময়মনসিংহ থেকে নেত্রকোনা পর্যন্ত এসেছেন এই যুবকের সঙ্গে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা বিমল পাল বলেন, এমন কাজে উৎসাহিত করতে তিনিও যোগ দিয়েছেন। সঙ্গে রয়েছেন নেত্রকোনার সাইকেল ভ্রমণকারীরাও। সহযোগিতা করছেন এলাকাবাসীও। চলছে দুই দেশেরই কুশল বিনিময়।
বেশ কয়েকটি জেলা ঘুরে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ফিরবেন নিজ দেশে।