সময় সর্বদা একরকম যায় না। বিষয়টি আবারও প্রমাণ করলেন অস্ট্রেলিয়ান অভিনেত্রী মার্গট রবি। অথচ অর্ধযুগ আগেও যিনি হলিউডে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন তিনি। বলা যায়, ২০১৬ থেকে করোনার আগ পর্যন্ত দারুণ সময় কাটাচ্ছিলেন তিনি।
২০১৭ সালে বিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিনের সেরা ১০০ প্রেরণাদায়ী ব্যক্তিত্বের তালিকায় ছিলেন রবি। এরপর ঠিক ২ বছর পর ২০১৯ সালে ফোর্বস সাময়িকীর জরিপে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেত্রীদের একজন হিসেবে নাম উঠে আসে তার। কিন্তু সেই তুলনায় চলতি বছরটা তার ভীষণই বাজে কেটেছে এই অভিনেত্রীর।
২০২২ সালে মুক্তি পাওয়া ‘আমস্টারডাম’ মুক্তির পরই রবির ভরাডুবি শুরু হয়। কেন? কারণ, আট কোটি ডলারে নির্মিত সিনেমাটি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছে।
জানা গেছে, ডেভিড ও. রাসেলের ছবিটিতে রবি ছাড়াও ছিলেন ক্রিশ্চিয়ান বেল, জন ডেভিড ওয়াশিংটন, ক্রিস রক, আনা টেইলর-জয়, জোয়ি সালদানার মতো তারকা। কিন্তু তার পরেও টেনেটুনে সিনেমাটি আয় করতে পেরেছে মোটে তিন কোটি ডলার।
তবে এখানেই শেষ নয়। জানা গেছে, ‘পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান’র স্পিন-অফ ছবিতে মার্গট রবি অভিনয় করার কথা থাকলেও সেটিও ভেস্তে গেছে। চলতি বছর অভিনেত্রী নিজেই জানান, সিনেমাটি আর হচ্ছে না। তবে বড় এই প্রজেক্ট বাতিল হলেও তিনি আশায় বুক বেঁধে ছিলেন ‘ব্যাবিলন’ নিয়ে।
ড্যামিয়েন শ্যাজেল পরিচালিত ছবিটি মুক্তি পেয়েছে বড়দিনের উৎসবে। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, নিশ্চিতভাবে রবির এই সিনেমাও ফ্লপ করতে যাচ্ছে। যদিও গোল্ডেন গ্লোব, ক্রিটিকস চয়েজসহ বড় পুরস্কারগুলোয় অনেকগুলো মনোনয়ন বাগিয়েছে ‘ব্যাবিলন’।
এ অবস্থায় রবির মত অভিনেত্রী তাকিয়ে আছেন ভবিষ্যতের দিকে। কবে সুদিন ফিরবে সেই অপেক্ষাই তার। জানা গেছে, ২০২৩ সালে মুক্তি পাবে তার আরও দুই বহুল প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘অ্যাস্টেরয়েড সিটি’ ও ‘বার্বি।