কাতার বিশ্বকাপে আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বকালের সর্বোচ্চ স্কোরার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো নোংরা রাজনীতির শিকার হয়েছেন বলে বিস্ফোরক দাবি করেছেন তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইপ এরদোয়ান।
তার মতে, ফিলিস্তিন ইস্যুতে কথা বলার জন্যই পর্তুগাল দলে সাইড বেঞ্চে বসিয়ে রাখা হয় সিআরসেভেনকে। মানসিকভাবেও নাকি রনকে বিপর্যস্ত করে রাখা হয়েছে। সংবাদ সংস্থা আনাদোলুর সঙ্গে সাক্ষাৎকারে এরদোয়ান এসব কথা বলেন।
প্রথমে ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ এরপর বিশ্বকাপে একটার পর একটা ম্যাচে তাকে সাইড বেঞ্চে বসিয়ে রেখেছেন পর্তুগালের সাবেক কোচ ফার্নান্দো সান্তোস। কোরিয়ার বিপক্ষে উঠিয়ে নেয়ার পর সুইজারল্যান্ড আর মরক্কো ম্যাচে তাকে অধিকাংশ সময় কাটাতে হয়েছে বেঞ্চে। দলের সেরা তারকাকে বসিয়ে রাখার ফলও পেয়েছে পর্তুগাল। বাদ পড়েছে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই।
দখলদার রাষ্ট্র ইসরাইলের বিরুদ্ধে সবসময়ই সোচ্চার ছিলেন রন। এমনকি বিভিন্ন সময়ে তিনি আর্থিক সহায়তা করেছেন ফিলিস্তিনি শিশুদের। ইসরাইলের ফুটবলারের সঙ্গে জার্সি বদল কিংবা হাত মেলাতে অস্বীকৃতি জানিয়ে এর আগেই হয়েছেন খবরের শিরোনাম। নানা সময়ে পাশে ছিলেন সিরিয়া-রোহিঙ্গাসহ মুসলিম বিশ্বের। আর সে কারণেই মধ্যপ্রাচ্যের বিশ্বকাপেই টার্গেট করা হয়েছিল ক্রিস্টিয়ানোকে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্টের দাবি, এর ফলে বিশ্ব নোংরা রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞার শিকার হয়েছেন রোনালদো। এসব ছিলো পূর্বপরিকল্পিত।
এরদোয়ান বলেন, ‘তারা রোনালদোকে নষ্ট করেছে। ক্রিস্টিয়ানোর মতো একজন ফুটবলারকে শুধু ৩০ মিনিটের জন্য মাঠে নামিয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে দেওয়া হয়েছে। এটা পরিকল্পিত। দুর্ভাগ্যবশত তারা রোনালদোর ওপর রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দিয়েছিল। কারণ রোনালদো এমন একজন যে ফিলিস্তিন ইস্যুতে কথা বলেছিল।’