মেট্রোরেল চালু হলে রাজধানীর বায়ুমানের উন্নতি হবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞ ও ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান। সম্প্রতি সময় সংবাদকে এ কথা জানান তিনি।
আর মেট্রোরেলের নির্মাণকারী সরকারি কোম্পানি ডিএমটিসিএল বলছে, এ পরিবহন অনেক বেশি পরিবেশবান্ধব। মেট্রারেল অন্য গণপরিবহনের ওপর চাপ কমালে তার প্রভাব পড়বে বাতাসে মিশে থাকা কার্বনে। ফলাফল কিছুটা হলেও শুদ্ধ হবে ঢাকার বাতাস।
এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা একিউআই সূচক অনুসারে বায়ুদূষণের মাত্রা ০ থেকে ৫০। পিএম ২.৫ হলে সেটি ভালো, ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সহনীয়, ১০১ থেকে ১৫০ বিশেষ শ্রেণির জন্য অস্বাস্থ্যকর, ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর, ২০১ থেকে ৩০০ খুবই অস্বাস্থ্যকর এবং ৩০০-এর বেশি হলে তা মানবস্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক বলে বিবেচিত হয়।
কয়েক বছর ধরে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরগুলোর তালিকায় ওপরের দিকে নাম রয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার। সাম্প্রতিক এক হিসাবে দেখা গেছে, বছরের পাঁচ মাসই এ শহরের বায়ু ‘অস্বাস্থ্যকর’ থাকে। এর অন্যতম কারণ রাজধানী ঢাকার অনিয়ন্ত্রিত যানবাহন। গবষেণায় দেখা গেছে, ঢাকার বায়ুদূষণের তিন নম্বর কারণ এ যানবাহন। তবে এবার নতুন করে স্বপ্ন দেখছে নগরবাসী। সেই স্বপ্নটা দূষণমুক্ত।
মেট্রোরেলের চলার পথ উত্তরা ফেজ-৩ এবং পল্লবী, রোকেয়া সরণি, খামারবাড়ি, ফার্মগেট, কারওয়ানবাজার, শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-ছাত্র কেন্দ্র টিএসসি), দোয়েল চত্বর এবং জাতীয় প্রেসক্লাব হয়ে মতিঝিলের বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত এ মেট্রোরেল লাইনের দৈর্ঘ্য ২০.১ কিলোমিটার। এমআরটি কর্তৃপক্ষ বলছে, মেট্রোরেল কমাবে এ পথে গণপরিবহনের চাপ। তা ছাড়া অত্যাধুনকি প্রযুক্তির ব্যবহারে এ মেট্রোরেল শব্দদূষণকেও নিয়ন্ত্রণ করবে।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমান উল্লাহ নুরী বলেন, মেট্রোরেল জনবান্ধব ও সাশ্রয়ী। দৈনিক আমাদের ১০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। কর্মঘণ্টা জ্বালানি সব দিতে থেকে এটি সাশ্রয়ী। অমূল পরিবর্তন হবে এটি চালু হলে।
বিশেষজ্ঞ জানান, মেট্রোর সেবা আর গতি যখন বিকল্প পরিবহনের চাহিদা কমাবে তখন বৃদ্ধি পাবে এ নগরের বায়ুর মান।
বিশেষজ্ঞ ও ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান সময় সংবাদকে বলেন, মেট্রোতে যদি বিপুল সংখ্যক মানুষ চড়তে পারে, তাহলে অনেক সাশ্রয় হবে, কারণ আগে তারা যে বাহন ব্যবহার করত সেইসব বাহনে ক্ষতিকর কার্বন ড্রাই অক্সাইড তৈরি হতো, সেটি আর তৈরি হবে না। মেট্রো নিজেই একটি পরিবেশবান্ধব বাহন। বায়ুমানের উন্নতি হবে।
তবে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় সুফল পেতে অপেক্ষা করতে হবে মতিঝিলে গিয়ে ট্রেন থামা পর্যন্ত।