ইসরাইলের রাষ্ট্রদূত ইরিত লিলিয়ান তুরস্কের আঙ্কারায় দূতাবাসের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান তুরস্কে তার পরিচয়পত্র গ্রহণ করেছেন। এর মধ্য দিয়ে দুই দেশ চার বছর পর স্বাভাবিক সম্পর্কে ফিরে এসেছে। মঙ্গলবার রাজধানী আঙ্কারায় প্রেসিডেন্ট কমপ্লেক্সে ইসরাইলি রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানান এরদোয়ান।
আগস্টে চার বছর ধরে খারাপ সম্পর্কের পর ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করে তুরস্ক। ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগ ২০০৮ সালের পর এ বছর প্রথমবারের মতো তুরস্ক সফর করেন। এরপরে রাষ্ট্রদূত ও কনসাল জেনারেলের নিয়োগ নিয়ে দুদেশ আলোচনার মাধ্যমে ইতিবাচক সিদ্ধান্তে উপনীত হয়।
দুদেশ আগের মতো সুসম্পর্কে ফিরে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে। গত মাসে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী মনোনীত বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান পারস্পরিক স্বার্থের প্রতি শ্রদ্ধার ভিত্তিতে সম্পর্কের নতুন যুগ তৈরি করতে একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে সম্মত হন। এরপরে ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট ১৯ সেপ্টেম্বর লিলিয়ানকে ইসরাইলি রাষ্ট্রদূত হিসেবে ঘোষণা করেন।
তুরস্ক ও ইসরাইলের মধ্যে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। আঙ্কারা ২০১০ সালে গাজায় একটি ত্রাণবাহী জাহাজ পাঠায়। সেই জাহাজে হামলার পর ইসরাইলের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করেছিল তুরস্ক। ওই হামলায় তুরস্কের ১০ নাগরিক নিহত হয়।
এর পরের ঘটনাগুলো ছিল দুদেশের মধ্যে বিরোধপূর্ণ। ইসরাইল থেকে নিজ কূটনীতিকদের প্রত্যাহার করে তুরস্ক। ২০১৬ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক আবার স্বাভাবিক হতে শুরু করে। এর ঠিক দুই বছর বছর পরে ফিলিস্তিনের গাজায় বিক্ষোভে অংশ নেওয়া বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে ইসরাইল। এর পরিপ্রেক্ষিতে আবারও দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছায়।