চীন ও পাকিস্তান সীমান্তে শতাধিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপন করতে যাচ্ছে ভারত। সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) ভারতীয় সংবাদ সংস্থা (এএনআই) জানিয়েছে, ডিসেম্বরের শুরুতে ভারতীয় ও চীনা সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে নয়াদিল্লি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠকে সশস্ত্র বাহিনীর জন্য প্রায় ১২০টি ক্ষেপণাস্ত্র ক্রয় এবং সীমান্তে মোতায়েনের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
এএনআই জানিয়েছে, স্থানীয়ভাবে তৈরি প্রলয় মিসাইল সীমান্তে মোতায়েন করা হবে। কৌশলগত স্বল্পপাল্লার এই ব্যালিস্টিক মিসাইল এক বছর আগে ভারতীয় সামরিক বাহিনী সফলভাবে পরীক্ষা করেছিল।
ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ১৫০ থেকে ৫০০ কিলোমিটার দূরত্বে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার ক্ষমতা রাখে। ক্ষেপণাস্ত্রগুলো দিক পরিবর্তন করতে পারে। এ কারণে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে এগুলো ধ্বংস করা কঠিন বলে দাবি করেছে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
প্রলয় মিসাইল তৈরি করেছে ভারতের ডিফেন্স রিচার্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও)। এটিকে আরও শক্তিশালী করে তোলা হচ্ছে। বাড়ানো হচ্ছে এর পাল্লা। ২০১৫ সালে এই মিসাইল তৈরি হলেও প্রয়াত বিপিন রাওয়াত যখন ভারতের চিফ অব আর্মি স্টাফ ছিলেন, সে সময় এটি আরও শক্তিশালী করে তোলার উদ্যোগ নেয়া হয়।
ভারতের প্রতিবেশী এবং ভূরাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী চীন ও পাকিস্তানের অস্ত্রাগারেও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। ডিসেম্বরের শুরুতে হিমালয় অঞ্চলের অরুণাচল প্রদেশে ভারতীয় ও চীনা সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে সংক্ষিপ্ত সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় ছয় ভারতীয় সেনা আহত হন। গত সপ্তাহে নয়াদিল্লি এ এলাকায় রেকর্ড সংখ্যক সৈন্য মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছে।