মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির বিরুদ্ধে চূড়ান্ত রায় দেবে জান্তাশাসিত মিয়ানমারের একটি আদালত। শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) এ রায় দেয়া হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র। এর মধ্য দিয়ে সু চির বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগের বিচার শেষ হবে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৭৭ বছর বয়সী নেত্রী অং সান সু চিকে ২০২১ সালে ফেব্রুয়ারি মাসের ১ তারিখ বন্দি করে দেশটির জান্তাবাহিনী। সেদিনই জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারকে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করে জান্তাবাহিনী। এরপর থেকেই বন্দি জীবনযাপন করছেন সু চি।
বর্তমানে সু চিকে মিয়ানমারে রাজধানী নেপিদোর একটি কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে। এর আগে তাকে একটি অজ্ঞাত স্থানে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছিল। জান্তা সরকার সু চিকে আইনি লড়াইয়ের জন্য কোনো আইনজীবী নিয়োগ করতেও দেয়নি। এরই মধ্যে সু চিকে বিভিন্ন অভিযোগে ২৬ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
সু চির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, কোভিড-১৯ বিধিনিষেধ ভঙ্গ করা, উত্তেজনা উসকে দিতে যোগাযোগের জন্য অবৈধভাবে রেডিও সরঞ্জাম মজুত করা, রাষ্ট্রীয় গোপন আইন ভঙ্গ করা এবং নির্বাচন কমিশনকে প্রভাবিত করা। তবে সু চি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো ‘অযৌক্তিক’ বলে উল্লেখ করেছেন।