রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্নভাবে ভোটগ্রহণ চলছে। এখন পর্যন্ত কোনো অনিয়মের খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে ঢাকার নির্বাচন কমিশন ভবনের কন্ট্রোল রুমে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
সিইসি বলেন, ‘সকাল সাড়ে ৮টা থেকে নগরীর ২২৯টি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিরতিহীনভাবে চলবে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত। আমরা সিসিটিভির মাধ্যমে সব পর্যবেক্ষণ করছি। এখন পর্যন্ত কোনো অনিয়মের খবর পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের সঙ্গেও আমাদের যোগাযোগ হচ্ছে। তারাও কোনো অনিয়মের খবর জানাননি।’
সিইসি আরও বলেন, ইভিএম ব্যবহার নিয়ে কিছুটা বিড়ম্বনায় পড়েছেন সাধারণ ভোটাররা। তবে সেই হার অনেক কম। এ ছাড়া ভোট দিতে কারও কোনো সমস্যা হবে না। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
এ নির্বাচনে ৩৩টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ২০৪ বর্গকিলোমিটার বিস্তৃত রংপুর সিটি করপোরেশনের ৪ লাখ ২৬ হাজার ৪৭০ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ১২ হাজার ৩০২ এবং নারী ২ লাখ ১৪ হাজার ১৬৭ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন একজন। ২২৯টি কেন্দ্রের বুথ সংখ্যা ১ হাজার ৩৪৯টি।
নির্বাচনে মেয়র পদে ৯ জন, সংরক্ষিত ১১টি ওয়ার্ডে ৬৮ এবং ৩৩টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৮৩ জন কাউন্সিলরসহ মোট ২৬০ প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন।
মেয়র পদে জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ-ইনু) শফিয়ার রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমিরুজ্জামান পিয়াল, খেলাফত মজলিশের তৌহিদুর রহমান মণ্ডল রাজু, জাকের পার্টির খোরশেদ আলম খোকন, বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির আবু রায়হান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেহেদী হাসান বনি ও লতিফুর রহমান মিলন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন জানান, এবার ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। প্রতিটি কেন্দ্র সিসিটিভির আওতায় রয়েছে। এ জন্য ভোটগ্রহণের শুরু থেকে গণনা পর্যন্ত সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।