বিদেশি নাগরিকরা চীনে প্রবেশের পর বাধ্যতামূলকভাবে কোয়ারেন্টাইনের যে বিধান ছিল তা তুলে নিতে যাচ্ছে বেইজিং। আগামী ৮ জানুয়ারি থেকে যারা চীনে প্রবেশ করবেন তাদের আর বাধ্যতামূলকভাবে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে না বলে সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) জানিয়েছে দেশটির ন্যাশনাল হেলথ কমিশন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ মহামারির কারণে ২০২০ সালের শুরু থেকে বন্ধ থাকা চীনা সীমান্ত বিদেশিদের জন্য উন্মুক্ত করার লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ নিয়েছে চীনা সরকার।
ন্যাশনাল হেলথ কমিশন জানিয়েছে, বিদেশ থেকে চীনে ভ্রমণের সকল বাধা তুলে নেয়া হবে। ৮ জানুয়ারি থেকে যেকোনো দেশের যে কেউ চীনে ভ্রমণ করতে পারবেন। তবে চীনের প্রবেশের পর চীন ত্যাগের ৪৮ ঘণ্টা আগে পিসিআর টেস্ট করতে হবে।
ন্যাশনাল হেলথ কমিশন সোমবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এখন থেকে কোভিড-১৯ ব্যবস্থাপনায় কাড়াকাড়ি হ্রাস করে ব্যবস্থাপনা সর্বোচ্চ গ্রেড ক্যাটাগরি-এ থেকে নামিয়ে ক্যাটাগরি-বি তে নেয়া হবে। বিবৃতিতে তারা আরও জানিয়েছে, এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণের কারণ হলো, ভাইরাসটি ক্রমেই কম সংক্রামকে পরণিত হচ্ছে এবং এটি একটি স্বাধারণ শ্বাসযন্ত্রের সাধারণ সংক্রমণে পরিণত হচ্ছে।
মহামারি শুরুর পর থেকেই চীন দীর্ঘ তিন বছর কোভিড সংক্রমণের হার কমিয়ে আনতে জিরো টলারেন্স দেখিয়েছে। সীমান্ত বন্ধ, কঠোর লকডাউনসহ বিভিন্ন কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে সেসব পদক্ষেপ চীনের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। তবে গত নভেম্বরে দীর্ঘ লকডাউনের অবসাদ থেকে রাস্তায় নেমে আসে দেশটির সাধারণ জনতা। তারই পরিপ্রেক্ষিতে কোভিড বিধিনিষেধ শিথিল করে দেশটি। তবে এর পর থেকে আবারও সংক্রমণ দ্রুত গতিতে বাড়ছে দেশটিতে।