গোল সংখ্যায় একদিন রোনালদো-মেসিকেও পেছনে ফেলবেন আর্লিং হালান্ড। ফিট থাকলে ৮০০ গোল তার জন্য কোনো বিষয়ই হবে না বলে মনে করেন নওরোজিয়ানের ক্লাব সতীর্থ কেভিন ডি ব্রুইনা। ক্যারাবাও কাপ এবং সাম্প্রতিক লিগে হালান্ডের পারফরম্যান্সে মুগ্ধ ব্রুইনা। একসঙ্গে খেললেও হালান্ডের গোলক্ষুধা প্রতিনিয়ত অবাক করে এই বেলজিয়ান মিডফিল্ডারকে।
বিশ্বকাপটা মাতিয়ে দিয়ে এসেছেন লিওনেল মেসি। শেষ বয়সে নিজের ফুটবলশৈলীর সর্বোচ্চটা তিনি দেখিয়েছেন কাতার আসরে। ৫ ম্যাচে শুধু সেরার পুরস্কার হাতে নেয়ার রেকর্ডই করেননি, ক্যারিয়ারের এই সায়াহ্নে গোল্ডেন বুটের দৌড়েও ছিলেন এমবাপ্পের সঙ্গে।
রোনালদো হয়তো গোল পাননি সেভাবে, তার পারফরম্যান্সে চলে এসেছে বয়সের ছাপ। কিন্তু তারপরও তাকে নিয়ে টানাহ্যাঁচড়া কম হচ্ছে না ফুটবল বিশ্বে। ট্রান্সফার বাজারে এখনো রমরমা পণ্য ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।
এ দুজনের ক্যারিয়ারে গোলের সংখ্যাটা চিরকালী ঈর্ষণীয়। যেকোনো ফুটবলারের টার্গেটই থাকে, তাদের কাছাকাছি যাওয়ার। দুই কিংবদন্তিকে পেছনে ফেলবেন এই দিবা স্বপ্ন কেউ দেখেন বলেও মনে হয় না। হালের ক্রেজ কিলিয়ান এমবাপ্পেকে নিয়ে যতই আলোচনা হোক না কেন, অন্তত গোল সংখ্যায় তাদের পেছনে ফেলার কথা তিনিও ভাবেন বলে মনে হয় না।
কিন্তু একজন নাকি ভাবেন। আর্লিং হালান্ড। এমনিতে মাঠে কারো সঙ্গে ব্যক্তিগত প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইস্যু সামনে এলে বরাবরই সেগুলোকে উড়িয়ে দেন এই নওরোজিয়ান। কিন্তু গোলের প্রশ্নে আবার বড় আপসহীন। ম্যাচের পর ম্যাচ তার গোল করার রেশিও, অবাক করে তার চরম সমালোচককেও। আর কেভিন ডি ব্রুইনা তো তার ক্লাব সতীর্থ, তাই হালান্ডকে তিনি হাইলি রেট করবেন এটাই তো স্বাভাবিক।
তাই তো ক্যারাবাও কাপের অমন পারফরম্যান্সের পর সতীর্থকে প্রশংসায় ভাসালেন এ বেলজিয়ান মিডফিল্ডার। তার মতে, একদিন গোলের সব রেকর্ড ভেঙে দেবেন হালান্ড। ক্যারিয়ারের ৭ বছরেই সে ১৭৯ গোল করে ফেলেছে।
৮০০ গোল তাই তার কাছে কোনো ব্যাপারই হবে না বলে বিশ্বাস কেভিনের।
বিশ্বকাপ বিরতি শেষে বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) লিডসের বিপক্ষে ফের প্রিমিয়ার লিগ শুরু করবে ম্যানসিটি। তার আগে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, হালান্ডকে গোল করার নেশায় পেয়েছে। সে এখন একটা ঘোরের মধ্যে আছে। প্রতি ম্যাচেই গোল করতে উন্মুখ হয়ে থাকে। এর মধ্যে সে ২০০- এর কাছাকাছি গোল করে ফেলেছে। ফিট থাকলে একদিন ৭০০-৮০০ গোল হয়ে যাবে। হালান্ডের মতো স্ট্রাইকার আমি আমার ক্যারিয়ারে খুব কম দেখেছি।
সিটিজেনরা তাকে বরুশিয়া থেকে উড়িয়ে এনেছিল এই গোল করার বিশেষত্বের কারণেই। লিগ বদলালেও গোল করার সেই ক্ষুধা এতটুকু কমেনি হালান্ডের। বরং, বড় প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে আরও বেশি স্কোর করাটাই এখন নেশা নওরোজিয়ানের।
কেভিন ডি ব্রুইনা বলেন, হালান্ড একেবারেই তরুণ একজন ফুটবলার। সে এখনো জীবনটাকে উপভোগ করছে। ফুটবল নিয়ে তার ভাবনা অন্য সবার মতোই। কিন্তু মাঠে তার প্রয়োগটা আলাদা। এখানেই সে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে আছে। সে প্রতিদিন নিজেকে ছাড়িয়ে যেতে চায়।
তবে এমবাপ্পের সঙ্গে কোনো তুলনায় যেতে চান না ডি ব্রুইনা। ফ্রান্সের হয়ে এমবাপ্পের অর্জনগুলো তাকে আলাদা করে দিয়েছে বলে মানেন তিনি। যদিও, ক্লাব ক্যারিয়ারে এমবাপ্পের ওপরেই রাখেন নিজ সতীর্থকে।