দিনের পর দিন ফেডারেশনের অন্যায়ের প্রতিবাদ করতেই গত শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) পুরস্কারে লাথি মেরেছেন আলোচিত বডিবিল্ডার জাহিদ হাসান শুভ। বাংলাদেশ বডিবিল্ডিং ফেডারেশনের কর্মকর্তারা টাকার বিনিময়ে অন্যকে চ্যাম্পিয়ন করেছেন অভিযোগ তুলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চাইলেন তিনি। নিজের অখেলোয়াড় সুলভ আচরণের জন্য ভক্তদের কাছে ক্ষমা চাইলেন। তবে বডিবিল্ডিংয়ে আজীবন নিষিদ্ধ করায় আইনি লড়াই চালিয়ে যাবেন বলে সময় সংবাদকে জানালেন জাহিদ।
টানা চারবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন বডি বিল্ডিংয়ে। পঞ্চমবারে এসে হলেন দ্বিতীয়। এরপরই নিজেকে আর সামলাতে পারলেন না। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পুরস্কার লাথি মেরে প্রতিবাদ জানানোর যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। জাহিদ সময় সংবাদকে জানালেন তার কারণ। জানালেন মঞ্চে তার সঙ্গে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামের কী কথা হয়েছিল।
জাহিদ বলেন, ‘আমি বলেছিলাম, স্যার আমাকে মাইক্রোফোনটা একটু দেন। তখন তিনি আমাকে ধমক দিতে শুরু করে। আমি কি কুকুর! আসলে টাকার বিনিময়ে তারা দুর্নীতি করছেন।’
পুরস্কারে লাথি মারার ঘটনার পর জাহিদকে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ বডি বিল্ডিং ফেডারেশন। শরীর গঠনে শ্রম, ত্যাগ আর খরচ হয় বিপুল অর্থ। বিনিময়ে পাওয়া যায় যৎসামান্য। বিচারকরা তার সঙ্গে অন্যায় করেছে দাবি করে জাহিদ, বিচার চাইলেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমি দাবি জানাবো যে এমন ‘ভুয়া’ ফেডারেশন যেন আর না থাকে।’
বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গণে বিচারকদের বিচারকার্য নিয়ে প্রশ্ন তোলা নতুন নয়। তবে জাহিদ পুরস্কারে লাথি মেরে যে অখেলোয়াড়সুলভ আচরণ করেছেন, তাও স্বীকার করে নিলেন। যার জন্য ভক্তদের কাছে অকপটে ক্ষমা চাইলেন।
আলোচিত এই বডিবিল্ডার বলেন, ‘আমার এমন আচরণে সাধারণ মানুষ যদি কেউ কষ্ট পেয়ে থাকেন, তবে তাদের কাছে আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।’
আজীবন নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের বিপক্ষে আইনি লড়াই চালিয়ে যাবেন বলে জানান জাহিদ।