রাশিয়া ইউক্রেনের যেসব এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে সেগুলো রাশিয়ার বলে স্বীকৃতি দেওয়াসহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে ইউক্রেনকে চরমপত্র দেয়া হয়েছে। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) এই চরমপত্র ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ইউক্রেন যদি চরমপত্রে ঘোষিত শর্ত বাস্তবায়ন না করে তবে রাশিয়ার সেনাবাহিনী সেগুলো পূরণে যা করার দরকার করবে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাত্র একদিন আগেই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছিলেন, তিনি ইউক্রেন সংকট নিরসনে আলোচনায় প্রস্তত। তবে ইউক্রেন এবং তার পশ্চিমা মিত্ররা পুতিনের এই বক্তব্যকে গলাবাজি বলে উল্লেখ করে সেই প্রস্তাব নাকচ করে দেয়। সেই ঘটনার একদিন পরই রাশিয়ার পক্ষ থেকে এমন চরমপত্র ঘোষণা করা হলো।
রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা তাসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী চরমপত্রের বিষয়ে বলেছেন, ‘আমাদের প্রস্তাব হলো, ইউক্রেনের বর্তমান শাসকরা যে এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে সেসব অঞ্চল নিরস্ত্রীকরণ, নাৎসিমুক্তকরণ এবং সেসব এলাকা থেকে রাশিয়া এবং আমাদের নিয়ন্ত্রণাধীন নতুন এলাকার নিরাপত্তার জন্য যেসব হুমকি মস্কো নিরূপণ করেছে সেগুলো অপসারণ করতে হবে।’
ল্যাভরভ আরও বলেন, ‘আমাদের প্রস্তাব খুবই সাধারণ, নিজেদের ভালোর জন্যই সেগুলো পূর্ণ করুন। অন্যথায়, রাশিয়ার সেনাবাহিনীই বিষয়টির দেখভাল করবে।’
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি পুতিন যখন ইউক্রেনে তার দাবিকৃত ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ চালানো শুরু করেন তখনও দাবি করা হয়েছিল, এই অভিযান ইউক্রেনকে নাৎসি মুক্তকরণ এবং নিরস্ত্রীকরণ করার উদ্দেশ্যে এই অভিযান। তবে ইউক্রেন এবং পশ্চিম বরাবরই দাবি করে আসছে পুতিনে এই অভিযান আসলে সাম্রাজ্যবাদী এবং ভূমি দখলের জন্যই।