রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে নগরীর ২২৯টি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিরতিহীনভাবে চলবে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত।
এ নির্বাচনে ৩৩টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ২০৪ বর্গকিলোমিটার বিস্তৃত রংপুর সিটি করপোরেশনের ৪ লাখ ২৬ হাজার ৪৭০ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ১২ হাজার ৩০২ এবং নারী ২ লাখ ১৪ হাজার ১৬৭ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন একজন। ২২৯টি কেন্দ্রের বুথ সংখ্যা ১ হাজার ৩৪৯টি।
নির্বাচনে মেয়র পদে নয়জন, সংরক্ষিত ১১টি ওয়ার্ডে ৬৮ এবং ৩৩টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৮৩ জন কাউন্সিলরসহ মোট ২৬০ প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন।
মেয়র পদে জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ-ইনু) শফিয়ার রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমিরুজ্জামান পিয়াল, খেলাফত মজলিশের তৌহিদুর রহমান মণ্ডল রাজু, জাকের পার্টির খোরশেদ আলম খোকন, বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির আবু রায়হান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেহেদী হাসান বনি ও লতিফুর রহমান মিলন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এদিকে, নির্বাচন কার্যক্রম সিসিটিভি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ করছে নির্বাচন কমিশন। এ ছাড়া, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন জানান, এবার ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। প্রতিটি কেন্দ্র সিসিটিভির আওতায় রয়েছে। এজন্য ভোটগ্রহণের শুরু থেকে গণনা পর্যন্ত সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার নুরে আলম মিনা বলেন, ‘যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আমরা তৎপর। আশা করছি, সুষ্ঠুভাবে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে পারব।’
নির্বাচন উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) নির্বাচনী এলাকায় সব সরকারি আধা-সরকারি স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।