ভোলার মেঘনা নদীতে ৯০০ টন জ্বালানি তেলসহ ডুবে যাওয়া সাগর নন্দিনী-২ জাহাজটিকে উদ্ধারে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। বিআইডব্লিউটিএ জানায়, উদ্ধারকারী জাহাজের ধারণক্ষমতা ডুবে যাওয়া জাহাজের তুলনায় কম। এদিকে দুর্ঘটনার পর ভাসমান তেলে পরিবেশ দূষণের শঙ্কায় স্থানীয়রা।
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) দ্বিতীয় দিনের মতো মেঘনায় চলছে ল্যামোরা সংযোজিত বোটের মাধ্যমে পানিতে নিঃসৃত তেল আলাদা করার কাজ।
রোববার (২৫ ডিসেম্বর) ভোলার মেঘনায় ডুবে যাওয়া তেলবাহী লাইটার জাহাজ সাগর নন্দিনী-২ উদ্ধারে কাজ শুরু করে বিআইডব্লিউটিএ-র উদ্ধারকারী জাহাজ। তবে জাহাজটির খালি অবস্থায় ওজন ৩৩০ মেট্রিক টন। ডুবে যাওয়ার পর তেলের সঙ্গে পানি ঢুকে এর ওজন আরও বেড়ে গেছে। কিন্তু উদ্ধারকারী জাহাজ ‘নির্ভিক’ ২৫০ মেট্রিক টন ওজন তুলতে সক্ষম। এতে ডুবে যাওয়া জাহাজ উদ্ধারে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।
উদ্ধার অভিযানের দায়িত্বরত বিআইডব্লিউটিএ-র যুগ্মপরিচালক আবদুস সালাম বলেন, ‘উদ্ধার কাজে ব্যবহার করা জাহাজের ধারণক্ষমতা কম হওয়ায়, ডুবে যাওয়া জাহাজ উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না।’জাহাজটির মাস্টার মাসুদুর রহমান বেলাল জানান, সামান্য কিছু তেল উদ্ধার হলেও বেশির ভাগই এখনও জাহাজের ভেতরে আছে। ক্ষতি এড়াতে জাহাজ ও বাকি তেল উদ্ধারে সহায়তা চেয়েছেন তিনি।
সচেতন নাগরিকরা বলছেন, তেলের গন্ধ আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে। নদীর পানি নষ্ট তো হচ্ছেই, এখানে মাছ আসবে না। দ্রুত এর সমাধান করা না গেলে মৎস্য ক্ষেত্রে বিপুল ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে পানিতে ভাসমান তেল সরাতে না পারলে নদীর ইকো সিস্টেম নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা পরিবেশ অধিদফতর ও মৎস্য বিভাগের।
পরিবেশ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মো. তোতা মিয়া বলেন, ‘যে পরিমাণ তেল নদীতে রয়েছে, তাতে ইকো সিস্টেমের ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলবে।’
ভোলা সদর উপজেলা মৎস্য অফিসার মো. জামাল হোসাইন বলেন, ‘দ্রুত সময়ে এ তেল উদ্ধার করা না গেলে মৎস্য বিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। মেঘনায় মাছের নার্সিং ও ব্রিডিং গ্রাউন্ড ধ্বংস হবে। এতে অতি শিগগিরই মাছের স্বল্পতা দেখা দেবে।’
রোববার ভোররাতে মেঘনার তুলাতুলি এলাকায় অপর একটি জাহাজের ধাক্কায় ৯০০ টন জ্বালানি তেলসহ সাগর নন্দিনী-২ নামের লাইটার জাহাজ ডুবে যায়। জাহাজটি চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুর যাচ্ছিল।