দক্ষিণ কোরিয়ার আকাশসীমায় উত্তর কোরিয়ার ড্রোন ঢুকে পড়া নিয়ে কোরীয় দ্বীপে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। আকাশসীমা লঙ্ঘন করা উত্তর কোরিয়ার বেশ কয়েকটি ড্রোন তাড়িয়ে দিয়েছে বলে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তবে এ সময় দক্ষিণ কোরিয়ার একটি কেএ-ওয়ান অ্যাটাক বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে।
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ বলেন, জিওংগি-ডো প্রদেশের আকাশে ‘মনুষ্যবিহীন আকাশযান’ দক্ষিণ কোরিয়ার আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর দাবি, দুই দেশের সামরিক সীমান্তরেখা অতিক্রম করেছে একটি ড্রোন। পরে সেটি গিম্পো, গাংঘাওয়া দ্বীপ এবং পাজু এলাকার ওপর দিয়ে উড়েছে।
নিজেদের আকাশে উত্তর কোরিয়ার ড্রোনের অনুপ্রবেশ শনাক্ত করার পর দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী এলাকা ছেড়ে যাওয়ার জন্য কয়েকটি আদেশ জারি করে এবং সতর্কতা হিসেবে গুলি ছোড়ে। এ ঘটনায় দক্ষিণ কোরিয়ার মোতায়েন করা বিমানের মধ্যে ছিল একটি কেএ-ওয়ান লাইট অ্যাটাক যুদ্ধবিমান। অজ্ঞাত কারণে সিউলের পূর্বাঞ্চলের হোয়েংসেং কাউন্টিতে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদ সংস্থা ইয়োনহাপার বরাতে দেশটির বিমানবাহিনী বলেছে, বিমানটি একটি বেসামরিক ভবনে বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে এতে ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।
কোরীয় উপদ্বীপে ব্যাপক উত্তেজনার মধ্যেই দক্ষিণ কোরিয়ার আকাশে ড্রোন ঢুকে পড়ার ঘটনা ঘটল। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে উত্তর কোরিয়া রেকর্ডসংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে।
এর আগে, ২০১৭ সালে উত্তর কোরিয়ার একটি ড্রোন নজরদারি মিশন পরিচালনার সময় দক্ষিণ কোরিয়ার আকাশে প্রবেশ করে। পরে সন্দেহভাজন মনুষ্যবিহীন ওই ড্রোনটি সীমান্তের কাছে বিধ্বস্ত হয়।