কাতারে অমরত্বের স্বাদ পেয়েছেন লিওনেল মেসি। বিশ্বকাপের ফাইনালে পেনাল্টি শুটআউটে ফ্রান্সকে হারিয়ে ৩৬ বছর পর আর্জেন্টিনার শিরোপা পুনরুদ্ধার করেছেন তিনি। এর মধ্য দিয়ে মেসি নিজের সব অপ্রাপ্তি মিটিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। বিশ্বকাপ জিতে সত্যিই কি তার অর্জন পূর্ণতা পেয়ে গেছে? কারণ ব্যক্তিগত পর্যায়ে একটা পুরস্কার যে এখনো অধরা রয়ে গেছে আর্জেন্টাইন মহাতারকার।
শীর্ষ কিছু না হওয়াতে ‘গোল্ডেন ফুট’ নিয়ে আলোচনা খুব কমই হয়। গোল্ডেন ফুট পুরস্কার চালু হয় ২০০৩ সালে। গত দুই দশকের প্রায় সব সেরা ফুটবলারই পুরস্কারটি জিতে নিয়েছেন। ক্যারিয়ারে অসংখ্য অর্জন মেসির। কিন্তু শুধু এই ‘গোল্ডেন ফুট’ পুরস্কারটাই পাওয়া বাকি রয়েছে তার।
গোল্ডেন ফুট অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয় এমন তারকাদের, যারা তাদের অর্জন ও ব্যক্তিত্ব দিয়ে ফুটবলে বিশেষ অবদান রেখেছেন। এই পুরস্কার তাদের মধ্য থেকে দেয়া হয়, যাদের বয়স ন্যূনতম ২৮ বছর।
নির্বাচিত সাংবাদিকরা মনোনীত ১০ ফুটবলারের মধ্য থেকে একজনকে বর্ষসেরা হিসেবে বেছে নেন। একজন ফুটবলার তার ক্যারিয়ারে এই পুরস্কার একবারই জিততে পারেন। পুরস্কারজয়ী খেলোয়াড়ের পায়ের ছাপ বিশেষভাবে সংরক্ষণ করা হয়।
বিশ্ব ফুটবলের বহু তারকা এই পুরস্কার জিতেছেন। সম্প্রতি গোল্ডেন ফুট অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন পোলিশ তারকা রবার্ট লেভানদোভস্কি। গত বছর এই পুরস্কার পেয়েছেন মিশরীয় তারকা মোহাম্মদ সালাহ। তার আগের বছর গোল্ডেন ফুট জেতেন পর্তুগিজ মহাতারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। যারা এখনো বিশ্বকাপ জেতেননি।
সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী মেসি গত ৭ বছর ধরেই গোল্ডেন ফুটের জন্য বিবেচিত হওয়ার যোগ্য। তা সত্ত্বেও এই পুরস্কার জেতার সৌভাগ্য হয়নি তার। যদিও করিম বেনজেমা আর ভার্জিল ফন ডাইকরাও এখনো পাননি গোল্ডেন ফুট।
তবে বর্তমানে দারুণ ফর্মে রয়েছেন ৩৫ বছর বয়সী মেসি। বিশ্বকাপের সেরা ফুটবলার হয়েছেন তিনি। তাই বলাই যায়, পরের বছর এই পুরস্কার জেতার অন্যতম দাবিদার আর্জেন্টাইন সুপারস্টার।