নিজের সম্ভাব্য শেষ বিশ্বকাপ খেলতে নেমে সোনালি ট্রফির আক্ষেপ ঘুচিয়েছেন আর্জেন্টাইন ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসি। লুসাইলের সেই ইতিহাসগড়া রাতে আলাদাভাবে বিশ্ববাসীর নজর কেড়েছিলেন মেসির স্ত্রী আন্তোনেল্লা রোকুজ্জো। শিরোপা জেতার রাতে তাদের উচ্ছ্বাস হৃদয় ছুঁয়ে গেছে ভক্ত-সমর্থকদের।
শৈশবের বান্ধবী আন্তোনেল্লা রোকুজ্জোকে ২০১৭ সালে বিয়ে করেন মেসি। রোকুজ্জো ছাড়া অন্য কারো সঙ্গে মেসির সম্পর্কের কথা কখনো শোনা যায়নি। তাদের সম্পর্কের কথা সামনে আসে ২০০৮ সালে। ২০১২ সালে তাদের প্রথম সন্তানের জন্ম হয়। প্রথম সন্তান থিয়াগোর জন্মের তিন বছর পর দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দেন আন্তোনেল্লা। তার নাম মাতেয়োর। আর ২০১৮ সালে জন্ম নেয় মেসিদের কনিষ্ঠ সন্তান সিরো। ফুটবলের বাইরে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে ভালোবাসেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।
কিন্তু অন্য কারও সঙ্গে মেসির সম্পর্কে জড়ানোর কথা শোনা না গেলেও সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন রোকুজ্জো। ওই যে কথায় আছে, দৃষ্টির বাইরে কেউ দীর্ঘদিন থাকলে তিনি মানুষের স্মৃতিতেও ধূসর হতে থাকেন। সেটাই ঘটেছিল মেসির ক্ষেত্রে।
মেসির সঙ্গে রোকুজ্জোর সম্পর্ক ছোটবেলা থেকেই। কিন্তু মেসি ছোট বয়সেই আর্জেন্টিনার রোজারিও গ্রাম ছেড়ে বার্সেলোনার একাডেমিতে যোগ দিতে চলে যান স্পেনে। ফলে আন্তোনেল্লাও দীর্ঘদিন একা হয়ে যান। ফুটবলের জন্য আর্জেন্টিনায় খুব একটা আসতেও পারতেন না মেসি। যোগাযোগ থাকলেও দীর্ঘ দিন দেখা না হওয়ায় মেসির প্রতি আকর্ষণ স্বভাবতই কমে যায় আন্তোনেল্লার। আর সেইসময় এক স্বদেশি যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয় আন্তোনেল্লার। তারপর সেই থেকে প্রেমও চলতে থাকে।
ঘটনাটি ২০০৭ সালের। মেসির কানে এ খবর পৌঁছালে তিনি চিঠিও লেখেন ছোট বেলার বন্ধু তথা আন্তোনেল্লার ভাই লুকা স্কাগলিয়াকে। লুকার মাধ্যমেই আন্তোনেল্লার সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল মেসির। আর অন্যজনের সঙ্গে প্রেমের বিষয়টিও জানতে পারেন তার মাধ্যমেই।
এবার সেই যুবক তথা মেসির স্ত্রীর সাবেক প্রেমিক নতুন করে আলোচনায় উঠে এসেছেন আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জেতার পর। আন্তোনেল্লার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি একবার লিখেছিলেন, ‘আমাদের মধ্যে সম্পর্ক থাকলেও আন্তোনেল্লার ওপর কোনো রাগ নেই। সে মেসির জন্য আমাকে ছেড়ে দিয়েছে। আর সেটি সে ঠিকই করেছে। একদিন আমার কাছে এসে একটি ফোন ব্যাগ থেকে বের করে বলেছিল, এটা মেসি তাকে দিয়েছে। আমি বুঝে যাই, তাদের দু’জনের মধ্যে পুরনো সম্পর্ক আবার জোড়া লেগেছে। তাই আমিও দূরে চলে যাই।’
আর্জেন্টিনার একটি সংবাদপত্রে ২০১০ সালে আন্তোনেল্লার সম্পর্ক নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। ওই যুবকই আন্তোনেল্লার সঙ্গে তার সম্পর্কের কথা প্রকাশ করেছিলেন। সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ায় কষ্ট পেলেও মেনে নিয়েছিলেন। ততদিনে অবশ্য মেসির সঙ্গে পাকাপাকিভাবে থাকতে শুরু করেন আন্তোনেল্লা। সেই যুবক অবশ্য নিজের নাম গোপন রেখেছেন।