দীর্ঘ তিন যুগ পর বিশ্বকাপের শিরোপা পুনরুদ্ধার করেছে আর্জেন্টিনা। শিরোপা উৎসব আপাতত থেমেছে। কিন্তু থামছে না আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজের আচরণ নিয়ে বিতর্ক। আর মার্টিনেজও নিজের আচরণের কারণ জানিয়ে যাচ্ছেন। এবার বিশ্বকাপের ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের কোচকেও বিদ্রুপ করে কুকথা বলার কারণ জানালেন আর্জেন্টিনার ফাইনালের নায়ক।
বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশে ফেরার পর বিজয় প্যারেডে একটি পুতুলে এমবাপ্পের মুখ বসিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন মার্টিনেজ। সেই ঘটনা নিয়ে আর্জেন্টিনার ফুটবল ফেডারেশনের কাছে লিখিত প্রতিবাদও জানিয়েছিল ফ্রান্সের ফুটবল সংস্থা। ফাইনালের পর সেরা গোলরক্ষকের ‘গোল্ডেন গ্লাভস’ পুরস্কার পাওয়ার পর তার ‘অশ্লীল’ ভঙ্গি নিয়েও সমালোচনা কম হয়নি।
বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনা-নেদারল্যান্ডস ম্যাচেও আচরণ নিয়ে বিতর্কে জড়ান তিনি। ওই ম্যাচটি গড়িয়েছিল টাইব্রেকারে। সেই ম্যাচে কমলা জার্সিধারীদের হারিয়ে ডাচ কোচ লুই ফন গালকে কটূক্তি করেন মার্টিনেজ।
দল জেতার পরে প্রথমে মাটিতে শুয়ে পড়তে দেখা যায় আর্জেন্টাইন গোলরক্ষককে। তার পর উঠে জার্সি খুলে ফেলেন তিনি। খালি গায়ে ছুটে যান নেদারল্যান্ডসের বেঞ্চের দিকে। তারপর ফন গালকে উদ্দেশ্য করে কিছু বলতে থাকেন। মার্টিনেজের ঠোঁট লক্ষ করলে বোঝা যায়, অশ্লীল ভাষায় ডাচ কোচকে গালাগাল দিচ্ছেন তিনি। তাকে সামলাতে থাকেন আর্জেন্টিনার এক সাপোর্ট স্টাফ। নেদারল্যান্ডসের বেঞ্চ থেকে তাকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যান তিনি।
এবার মার্টিনেজ সংবাদমাধ্যমকে এমন আচরণ করার কারণ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ম্যাচের আগে খুব কথা বলছিলেন তারা। ফুটবল আমাকে শিখিয়েছে যে, মাঠেই উত্তর দিতে হয়। নেদারল্যান্ডসের কোচ ম্যাচের আগে আমাদের অধিনায়ক লিওনেল মেসিকে অনেক কিছু বলেছিলেন। ফন গাল বলেছিলেন, টাইব্রেকার খেলা গেলে তারা জিতবেই। কিন্তু মাঠে ফল উল্টোটা হয়।’
মার্টিনেজ সেই ম্যাচে টাইব্রেকারে দুটি শট বাঁচিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘ফন গালের কথা আমার শক্তি বাড়িয়ে দিয়েছিল। তিনি যা বলেছিলেন, সেটার ছবি তুলে মোবাইলে রেখে দিয়েছিলাম। আমার গোলরক্ষক কোচ এবং মনোবিদের সঙ্গে কথা বলি। আরও অনুশীলন করি। আমাকে রাগিয়ে দিয়েছিল তার কথা। চুপ করিয়ে দিতে চেয়েছিলাম তাদের।’
ফুটবলের জন্য ১৭ বছর বয়সে আর্জেন্টিনা ছাড়েন মার্টিনেজ। যোগ দিয়েছিলেন আর্সেনালের অ্যাকাডেমিতে। এখন তিনি খেলেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের আরেক ক্লাব অ্যাস্টন ভিলায়।