নৌকায় করে গত নভেম্বর মাসে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবির ত্যাগ করেছিলেন ১৮০ জন রোহিঙ্গা। চলতি মাসে তাদের নৌযানটি ডুবে গেছে এবং তারা সবাই মারা গেছেন। রোববার (২৫ ডিসেম্বর) এমন আশঙ্কা ব্যক্ত করেছে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুসারে, ইউএনএইচসিআর একটি সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ‘চলাচলের অনুপোযোগী’ সেই নৌযানটি সম্ভবত ডুবে গেছে এবং আরোহীরা সবাই সাগরে নিখোঁজ হয়ে গেছেন।
ইউএনএইচসিআর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে শেয়ার করা এক টুইটে বলেছে, ‘যারা সেই নৌকায় ছিলেন তাদের সঙ্গে আত্মীয়দের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। যাদের সঙ্গে সর্বশেষ যোগাযোগ হয়েছে তারাও সম্ভবত ডুবে গেছেন।’
এর আগে গত সপ্তাহেই মিয়ানমারে রোহিঙ্গা অধিকার নিয়ে কাজ করা একটি সংস্থা জানিয়েছিল, ভারতের উপকূলের কাছে একটি নৌকায় থাকা অন্তত ২০ জন রোহিঙ্গা খাবার এবং পানির অভাবে মারা গেছেন। ওই নৌকাটিতে থাকা প্রায় ১০০ জনের মধ্যে বাকি ৫৮ জন ইন্দোনেশিয়ার একটি দ্বীপে আশ্রয় নেয়। এ ছাড়া চলতি মাসের শুরুতেই শ্রীলঙ্কার নৌবাহিনী ভারত মহাসাগর থেকে ভাসমান অবস্থায় ১০৪ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে।
২০১৭ সালে মিয়ানমারে সেনাবাহিনী আরাকানে রোহিঙ্গাদের ওপর সশস্ত্র অভিযান চালালে রোহিঙ্গারা দলে দলে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। পরে তাদের কক্সবাজারে বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরে স্থান দেয়া হয়। বৌদ্ধপ্রধান দেশ মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্বই অস্বীকার করা হয় এবং তাদের মিয়ানমারে অনুপ্রবেশকারী বলে আখ্যা দেয়া হয়।