রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, তিনি ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে আলোচনা চাইলেও পশ্চিমা বিশ্ব চায় ঐতিহাসিক রাশিয়াকে ভেঙে ফেলতে। মস্কোভিত্তিক রুশ রাষ্ট্রায়ত্ত সম্প্রচারমাধ্যম রসিয়া-১ টিভিতে প্রচারিত সাক্ষাৎকারে রোববার (২৫ ডিসেম্বর) এ মন্তব্য করেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের খারকিভ এবং জাপোরিঝিয়া অঞ্চলে ব্যাপক বোমা হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। এরই মধ্যে দেশটির প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে এমন মন্তব্য এল। পুতিন বলেছেন, ‘আমরা গ্রহণযোগ্য সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গেই আলোচনায় প্রস্তুত। কিন্তু এটি গ্রহণ করা না করা তাদের ব্যাপার, আমরা যারা আলোচনা করতে অস্বীকার করছি না, তাদের ব্যাপার নয়।’
পুতিন আরও বলেছেন, ‘প্রকৃতপক্ষে, এখানে আমাদের ভূরাজনৈতিক প্রতিপক্ষের উদ্দেশ্য হলো রাশিয়াকে ভেঙে ফেলা, বিশেষ করে ঐতিহাসিক রাশিয়াকে ভেঙে ফেলা।’ এ সময় তিনি উল্লেখ করেন যে, রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মানুষ ঐতিহাসিকভাবেই একই সংস্কৃতি লালন করে এবং প্রতিপক্ষ এই ঐক্য ভেঙে ফেলতে চায়।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পশ্চিমা বিশ্বকে ইঙ্গিত করে আরও বলেন, ‘তারা সব সময়ই বিভাজন তৈরি করে অন্যদের শাসন করতে চেয়েছে। কিন্তু আমাদের উদ্দেশ্য অন্য কিছু, আমাদের লক্ষ্য হলো রাশিয়ার জনগণকে আবারও ঐক্যবদ্ধ করা।’
তবে ইউক্রেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা রুশ প্রেসিডেন্টে এই অবস্থানকে কেবল একটি গলাবাজি বলে আখ্যা দিয়েছেন। তারা বলেছেন, এমন হামলা অব্যাহত রেখে আলোচনার কথা বলা পুতিনের একটি কৌশলমাত্র। এই ব্যাপারে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা মিখাইলো পদোলিয়াক বলেছেন, ‘রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে অলীক থেকে বাস্তবতায় ফিরত হবে এবং স্বীকার করে নিতে হবে তারাই আলোচনা চান না।’
পদোলিয়াক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে করা এক টুইটে আরও বলেছেন, ‘রাশিয়া এককভাবে ইউক্রেন আক্রমণ করেছে এবং মানুষ হত্যা করেছে। এখন তারা আলোচনার কথা বললেও তারা আসলে আলোচনা চায় না বরং তারা এখন দায় এড়িয়ে যেতে চাইছে।