চীন-যুক্তরাষ্ট্রের দ্বন্দ্ব যেন থামছেই না। একদিন আগেই চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্র চরম সীমা অতিক্রম না করার হুমকি দিয়েছেন। সেই হুমকির পরপরই যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে তাইওয়ানকে ১ হাজার কোটি ডলারের সমর সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) চীন যুক্তরাষ্ট্রের এই উদ্যোগের ব্যাপারে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবর, যুক্তরাষ্ট্র দেশটির ন্যাশনাল ডিফেন্স অথোরাইজেশন অ্যাক্টের আওতায় তাইওয়ানকে এই সামরিক সহায়তা দেবে। এমন খবরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে তাইপে। তবে স্বাভাবিকভাবেই যুক্তরাষ্ট্রের এই উদ্যোগ চীনের মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই বিষয়ে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, চীন যুক্তরাষ্ট্রের এমন উদ্যোগের ব্যাপারে তীব্র অসন্তোষ জানাচ্ছে এবং দৃঢ়ভাবে এই উদ্যোগের বিরোধীতা করছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এই অ্যাক্টের আওতায় তাইওয়ানকে ১ হাজার কোটি ডলার সামরিক সহায়তা দেয়া হবে এবং এতে দ্রুত সামরিক সহায়তা দেয়ার কথাও বলা হয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের এই উদ্যোগ তাইওয়ান প্রণালির শান্তি এবং স্থিতিশীলতা নষ্ট করবে।
চীন তীব্র প্রতিক্রিয়া জানালেও যুক্তরাষ্ট্রের এই উদ্যোগে খুশি হয়েছে তাইওয়ান। দেশটি নতুন আইনে তাইপেকে সহায়তা দেয়ায় যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, এই নতুন আইনের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র দেখিয়ে দিয়েছে যে, দ্বীপ দেশটির নিরাপত্তা নিশ্চিতে ওয়াশিংটন-তাইপে মৈত্রি কতটা জরুরি।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘তাইপে এই বিষয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলাপ করবে এবং সেই অনুসারে আমরা আমাদের বাজেট পরিকল্পনা এগিয়ে নিয়ে যাব।’