বড়দিনে ইউক্রেনের জনগণকে রাশিয়ার হামলায় ধৈর্য ধারণ করার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় দিবাগত রাতে দেয়া ভিডিও ভাষণে এ আহ্বান জানান তিনি।
এছাড়া জেলেনস্কি রাশিয়াকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, স্বাধীনতা অর্জন করতে মূল্য দিতে হয়। কিন্তু দাসত্বের মূল্য অনেক বেশি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন ছবি দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘বিশ্বকে অবশ্যই দেখতে হবে এবং বুঝতে হবে আমরা কত খারাপ রাষ্ট্রের সঙ্গে যুদ্ধ করছি।’
ইউক্রেনের জনগণের উদ্দেশে জেলেনস্কি আরও বলেন, ‘যুদ্ধের শুরু থেকে আমরা সহ্য করে আসছি। আক্রমণ, হুমকি, পারমাণবিক ব্ল্যাকমেল, সন্ত্রাস, ক্ষেপণাস্ত্র হামলা সহ্য করেছি। আসুন এই শীত সহ্য করি কারণ আমরা জানি আমরা কাদের সঙ্গে লড়াই করছি। তবে আমরা আমাদের ছুটির দিনগুলি উদযাপন করব! আমরা হাসব এবং খুশি হব। পার্থক্য হচ্ছে আমরা অলৌকিক ঘটনার জন্য অপেক্ষা করব না। কারণ এই যুদ্ধ আমাদেরই লড়াই করে জিততে হবে।’
বিবিসির প্রতিবেদক জানিয়েছেন, রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনের বেশিরভাগ অঞ্চলের বাসিন্দাদের বড়দিন হবে অন্ধকারে এবং ঠান্ডায়। রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার কারণে লাখ লাখ ইউক্রেনীয়কে বিদ্যুৎ, ঘর গরম করা এবং পানি ছাড়াই থাকতে হচ্ছে।
তবে অনেক ইউক্রেনীয় বিবিসিকে বলেছেন, এই কষ্টগুলি তাদের আরও শক্তিশালী করেছে। যেহেতু যুদ্ধ ১১তম মাসে গিয়ে ঠেকেছে তাই রাশিয়াকে পরাস্ত করতে তারা আরও অপেক্ষা করতে পারবেন।
এদিকে ইউক্রেনের সামরিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শনিবার ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় খেরসন শহরে রাশিয়ার বিমান হামলায় ১০ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া আরও ৬৪ জন আহত হয়েছে। রাশিয়ার দখলকৃত একমাত্র আঞ্চলিক রাজধানী খেরসন গত মাসে ইউক্রেন মুক্ত করে।
তারপর থেকে দিনিপ্রো নদীর বাম তীরে অবস্থানরত রাশিয়ান বাহিনী খেরসনে হামলা চালাচ্ছে। এছাড়া ইউক্রেনের পূর্ব দোনবাস অঞ্চলে কৌশলগত শহর বাখমুতে ইউক্রেন এবং রাশিয়ান সেনাদের মাঝে ভয়ানক লড়াই অব্যাহত রয়েছে।