মেট্রোরেল উত্তরা থেকে আগারগাঁও চললেও প্রাথমিকভাবে অন্য স্টেশনে থামবে না। প্রথম তিন মাস চলাচল করবে সকাল আটটা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত। বন্ধ থাকবে সপ্তাহে একদিন। যাত্রীরা অভ্যস্ত হলে বাড়বে ট্রিপের সংখ্যা। ২৬ মার্চ পূর্ণ অপারেশনে যাবে মেট্রোরেল।
চোখের সামনেই স্বপ্ন ছোঁয়ার হাতছানি। দীর্ঘদিন যানজটে নাকাল নগরবাসীর কাছে স্বস্তির নাম মেট্রোরেল। শেষ মুহূর্তে তাই এই পথে চলছে ট্রায়েল রান। মিলিয়ে নেয়া হচ্ছে খুঁটিনাটি হিসেবগুলো।
কর্তৃপক্ষ আগেই জানিয়েছে, প্রথম ধাক্কাতেই পূর্ণাঙ্গ অপারেশনে যাচ্ছেন না তারা। সেক্ষেত্রে কেমন হবে প্রথম পর্বের যাত্রা?
ডিএমটিসিএল জানিয়েছে, প্রাথমিক পরিকল্পনায় দিনে সর্বোচ্চ চার ঘণ্টা ট্রেন চালানো হবে। একদিনে ট্রেনে সর্বোচ্চ ২০০ জন যাত্রী চলাচল করবে। প্রথমে উত্তরা থেকে আগারগাঁও সরাসরি সার্ভিস দেবে এমআরটি সিক্স। আপাতত থামবে না আর কোন স্টেশনে।
যদিও প্রতি সাত বা দশদিন পরপর বদল হবে পরিকল্পনা। সব কিছু নির্ভর করবে যাত্রী চাপ আর অভ্যস্ততার ওপর। তবে সব পাঠ চুকিয়ে ২৬ মার্চ পূর্ণ অপারেশনে যেতে চায় কর্তৃপক্ষ। এরপর ২৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর গণপরিবহনের এই নতুন দিগন্তের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।
বাণিজ্যিক যাত্রার প্রথমদিন থেকেই স্টেশনে মিলবে এমআরটি পাস।
মেট্রোরেলের প্রতি ট্রেনে ছয়টি কোচ থাকছে। এর প্রতিটিতে বসার ব্যবস্থা আছে ৫৪ জনের। সব মিলিয়ে একটি ট্রেনে বসে যেতে পারবেন ৩০৬ জন। মাঝখানের প্রশস্ত জায়গায় যাত্রীরা দাঁড়িয়ে ভ্রমণ করবেন। সব মিলিয়ে একটি ট্রেনে বসে ও দাঁড়িয়ে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৩০৮ যাত্রী ভ্রমণ করতে পারবেন।
প্রতিটি ট্রেনের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার। তবে ট্রেন কোন স্থানে কত গতিতে চলবে, সেটা ঠিক করবে কর্তৃপক্ষ। ট্রেনের নকশা প্রণয়ন ও তৈরির কাজ করছে জাপানের কাওয়াসাকি-মিতসুবিশি কনসোর্টিয়াম।