পায়ে বিশ্বকাপ শিরোপার ট্যাটু করলেন আর্জেন্টাইন তারকা আনহেল ডি মারিয়া। গেল বছর কোপা আমেরিকা জয়ের পর ট্যাটু করিয়েছিলেন বাঁ পায়ে। ডান পা খালি রাখা হয়েছিল বিশ্বকাপের জন্য। ইতিহাস রচনা করে সেই শূন্যস্থান পূরণ করেছেন ডি মারিয়া। বিশ্বকাপ শেষে আর্জেন্টিনায় ফিরে গিয়ে ট্যাটু করে তার ছবি সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করেন তিনি।
বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের শিরোপা উৎসব আপাতত থেমেছে। বাইরে থেকে দেখলে বুয়েন্স আয়ার্সও শান্ত মনে হবে। ইতিহাস সৃষ্টিকারীর এখন ব্যস্ত পরিবার- পরিজনের সঙ্গে ঐতিহাসিক মুহূর্তের স্মৃতি রোমন্থনে। তবে এখনও অনেকেই রয়ে গেছেন লুসাইলের সেই মহাকাব্যিক ঘোরে।
লিওনেল স্ক্যালোনির তুরুপের তাস আনহেল ডি মারিয়া। ফাইনালে ফ্রেন্স ডিফেন্স নিয়ে তার ছেলেখেলা নান্দনিক। তিনি বিগ ম্যাচ মনস্টার। গেল দেড় বছরে যে তিনটি মেজর শিরোপা জিতেছে আর্জেন্টিনা, তার প্রত্যেকটির ফাইনালে স্কোর করেছেন মারিয়া। তাই তার স্মৃতি ধরে রাখার পন্থাটাও অনন্য।
গেল বছর কোপা আমেরিকায় ব্রাজিলকে হারিয়ে ২৮ বছর পর শিরোপা জেতে আলবিসেলেস্তেরা। সেই ম্যাচে একমাত্র জয়সূচক গোলটি আসে ডি মারিয়ার পা থেকেই। সেই অর্জন ধরে রাখার জন্য বাঁ পায়ে শিরোপার ট্যাটু করিয়েছিলেন তিনি; ডান পা খালি ছিল তার বিশ্বকাপের জন্য।
আর্জেন্টিনার দীর্ঘ ৩৬ বছরের অপেক্ষার অবসান হয়েছে কাতারে। ঐতিহাসির এই অর্জনে অসীম অবদান ডি মারিয়ার। ফাইনাল ম্যাচস্কোরার ভিন্নভাবে এই স্মৃতি ধরে রাখবেন-সেটাই তো স্বাভাবিক। দেড় বছর ধরে অপেক্ষায় থাকা এই উইঙ্গারের আর তর সয়নি। দেশে ফিরেই কিছু আনুষ্ঠানিকতা সেরে চলে গেছেন স্মৃতি ধরে রাখার জন্য।
রোজারিওতে জন্ম নেন লিওনেল মেসি, ডি মারিয়াও তা-ই। মহাতারকার শহরে তিনি স্বমহিমায় ভাস্বর। মাহেন্দ্রক্ষণের পরম অরাধ্য স্মৃতি শোভা পেয়েছে তার ডান পায়ে ট্যাটুর মধ্য দিয়ে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেই খবর নিজেই জানিয়েছেন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন।
কাতারে আর্জেন্টিনা থেমে গেলে, থেমে যেতেন ডি মারিয়াও। ঘোষণা আগেই দিয়ে রেখেছিলেন, দলকে চ্যাম্পিয়ন করতে না পারলে খুলে রাখবেন জাতীয় দলের জার্সি। তাই আপাতত তা আর জার্সি খোলার ইচ্ছা নেই। আকাশী-নীলে চলুক না আরও কিছু দিন। ভক্তরা কেবল তা উপভোগ করুক তন্ময় হয়ে।