বাংলাদেশের ভরসা হয়ে লড়ে যাওয়া লিটন দাসের বিদায়ের পরই সব শেষ হয়ে গিয়েছিল। অপেক্ষা ছিল লিডটা কত বড় হয় সেটি দেখার। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস থেমেছে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৩১ রানে। লিটনের পাশাপাশি ব্যাট হাতে অনবদ্য ইনিংস খেললেন পেসার তাসকিন। তাতে লিড দাঁড়াল ১৪৪ রান।
চট্টগ্রাম টেস্টের পর মিরপুর টেস্টেও ভারতকে জিততে হলে করতে হবে ১৪৫ রান। হাতে এখনও সময় আছে দুই দিনেরও বেশি।
দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে স্পিনার তাইজুল বলছিলেন, লড়াই জমাতে অন্তত ২৫০ রানের মতো লিড পাওয়ার লক্ষ্য তাদের। তবে প্রথম ইনিংসে ব্যাটারদের ব্যর্থতার পর দ্বিতীয় ইনিংসেও সেই চিরচেনা দৃশ্য। আর তাতে লিডটা বড় হয়নি আর। একপ্রান্তে লিটন আর তাকে তাসকিন যোগ্য সঙ্গ না দিলে বাংলাদেশের ইনিংস কতদূর যেত তা নিয়েই সন্দেহ থেকে যায়।
চলতি টেস্টের প্রথম ইনিংসে মাত্র ২২৭ রানেই গুটিয়ে যায় সাকিবদের ইনিংস। তবে ব্যাটিং ব্যর্থতার পর বল হাতে ভালোভাবেই ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। বোলারদের নৈপুণ্যে প্রথম ইনিংসে ভারতকে বড় লিড নিতে দেয়নি বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসান ও তাইজুল ইসলাম দুজনই ৪টি করে উইকেট নিয়েছেন। বাকি দুই উইকেটের মালিক মিরাজ ও তাসকিন। ৮৭ রানে এগিয়ে থেকে সফরকারীরা গুটিয়ে যায় ৩১৪ রানে।
এরপর শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) শেষ বিকেলে রানের তুলনায় উইকেটে টিকে থাকাটাই গুরুত্বপূর্ণ ছিল বাংলাদেশের। দিনের বাকি থাকা ৯ ওভারে সে দায়িত্বটা ছিল দুই ওপেনার শান্ত-জাকিরের কাঁধে। যদিও কাজটা সহজ করে দেয় প্রকৃতি। আলোকস্বল্পতায় মাত্র ৬ ওভার মাঠে গড়ায়। ৮০ রানে পিছিয়ে থেকে দিনের সমাপ্তি টেনেছিলেন স্বাগতিকরা।
তৃতীয় দিনে শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) প্রথম আধাঘণ্টায় ২ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। আগের দিনের ৭ রান নিয়ে মিরপুরে তৃতীয় দিনে পুনরায় ব্যাট করতে নামেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও জাকির হাসান। কিন্তু দিনের শুরুতেই নাজমুলের উইকেট তুলে নেন অশ্বিন। দ্বিতীয় ওভারে আগের বলে একটুর জন্য বেঁচে যাওয়া বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান হন এলবিডব্লিউ। আগেরদিনের ৫ রানের সঙ্গে আর কোনো রানই যোগ করতে পারেননি শান্ত।
দ্রুতই সাজঘরের পথ ধরেন প্রথম ইনিংসে দুর্দান্ত খেলা মুমিনুল হক। ১২.৫ ওভারে মোহাম্মদ সিরাজের বলে পন্তের হাতে ধরা পড়েন মুমিনুল। মাত্র ৫ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি। মারেন ১টি চার।
এরপর দলীয় রান ৫০ পার হওয়ার পর সাজঘরে ফেরেন সাকিব। আগের ইনিংসের মতোই এ ইনিংসেও বড় শট খেলতে গিয়ে আউট হন টাইগার দলপতি। ২৪.৪ ওভারে জয়দেব উনাদকাটের বলে শুভমন গিলের হাতে ধরা পড়েন সাকিব। ৩৬ বলে এক চারে ১৩ রান করেন তিনি।