আওয়ামী লীগের আমন্ত্রণে দলটির ২২তম জাতীয় সম্মেলনে যোগ দেয়নি বিএনপি। তবে শরিক দলগুলোর নেতারা অংশ নিয়েছেন।
শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সম্মেলন শুরু হয়। শুরুতে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন শেখ হাসিনা। দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। পরে শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা।
সম্মেলন নিয়ে বিএনপির কোনো আগ্রহ নেই জানিয়ে দলটির ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ জানান, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা গণমিছিলে অংশ নিতে ঢাকার বাইরে অবস্থান করছেন। সারা দেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। ঢাকায় শুক্রবার রাতে বিএনপির নেতাকর্মীদের বাসায় অভিযান চালানো হয়েছে। নেতাকর্মীরা গ্রেফতার আতঙ্কে রয়েছেন। এমন অবস্থায় ক্ষমতাসীন দল সম্মেলন করছে।
এর আগে শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে যোগ দিতে বিএনপির তিন নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তারা হলেন—বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান ও আবদুল মঈন খান। কিন্তু তারা সম্মেলনে যাননি। তারা বিএনপির গণমিছিল কর্মসূচিতে যোগ দিতে ঢাকার বাইরে গেছেন।
রাজধানী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত সম্মেলনে অংশ নেন জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের, তরীক্বত ফেডারেশনের সভাপতি নজিবুল বাশার মাইজভাণ্ডারী, জাসদ সাধারণ সম্পাদক শিরীন আক্তার, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, জেপি সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম, কৃষক-শ্রমিক-জনতা পার্টির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদের সিদ্দিকী (বীর উত্তম), জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল হক চুন্নু, ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাৎ হোসেন, গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, বাসদ সভাপতি রেজাউর রশিদ খান, ন্যাপ সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহ্বায়ক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, যুগ্ম আহ্বায়ক অসিত বরণ রায়, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলিপ বড়ুয়াসহ অনেকে।