কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় পাহাড়ি এলাকা থেকে অপহৃত সেই আট যুবক ঘরে ফিরেছেন। অপহরণের তিন দিন পর বুধবার (২১ ডিসেম্বর) রাত আড়াইটার দিকে তারা ঘরে ফেরেন।
বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে তাদের বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে।
এর আগে গত রোববার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরা এলাকার পাহাড়ের ভেতরে খাল থেকে তাদের ধরে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।
উদ্ধার হওয়া আট যুবক হলেন: আবছার উদ্দিন (২২) , নুরুল মোস্তাফা (৩৪), করিমুল্লাহ (২০) নুর মোহাম্মদ (২৪), মোহাম্মদ উল্লাহ (৩৮), সেলিম উল্লাহ (৩২), রিদুওয়ান ও নুরুল হক (৫২)।
টেকনাফ থানার আওতাধীন বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক মশিউর রহমান জানান, বুধবার রাতে অপহরণকারীরা আটজনকে ছেড়ে দেয়। বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে তাদের তদন্ত কেন্দ্রে আনা হয়েছে। তাদের সঙ্গে আলাপ করে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, অপহরণের পর থেকে পুলিশ বিরতিহীনভাবে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে। ড্রোন ব্যবহার করে ধারাবাহিক অভিযানের ভয়ে অপহরণকারীরা এদের ছেড়ে দিয়েছে, নাকি অন্য কিছু তা জানতে পুলিশ কাজ করছে।
এর আগে গত ১৮ ডিসেম্বর বিকেলে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরা এলাকার একটি পাহাড়ের ভেতর খালে মাছ ধরতে গেলে অস্ত্রধারী একদল অপহরণকারী এক কলেজ শিক্ষার্থীসহ আট যুবককে অপহরণ করে নিয়ে যায়। আটজনই একই গ্রামের এবং তারা পরস্পর নিকটাত্মীয়। অপহৃতদের মধ্যে আবছার উদ্দীন কক্সবাজার কলেজের শিক্ষার্থী।
অপহরণকারীরা অপহৃতদের স্বজনদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে মোটা অঙ্কের অর্থ মুক্তিপণ দাবি করে।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল হালিম বলেন, এ ঘটনায় অপহৃত করিমুল্লাহর ভাই মোহাম্মদ হাবীব বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে টেকনাফ মডেল থানায় মামলা করেন।