আন্তর্জাতিক ফুটবল আর বিশ্বকাপের ব্যস্ততা শেষে আবারও মাঠে নামছে ইংলিশ বড় দলগুলো। যেখানে কারাবাও কাপের চতুর্থ রাউন্ডের হাইভোল্টেজ ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে দুই জায়ান্ট ম্যানচেস্টার সিটি আর লিভারপুল। অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট হওয়ায় এই ম্যাচে দলের একাধিক তারকা ফুটবলারকে বিশ্রাম দিতেন পারেন দুই কোচ পেপ গার্দিওলা আর ইয়ুর্গেন ক্লপ।
ইতিহাদে বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত ২টায় শুরু হবে ম্যাচ।
যেন সারাদিনের ক্লান্তি ভুলে নীড়ে ফেরার সময় হলো। আন্তর্জাতিক ব্যস্ততা শেষ, শেষ হয়েছে বিশ্বকাপও। এবার ক্লাব ব্যস্ততার পালা। তবে এদিক থেকে ইংলিশরা যেন ব্যতিক্রম। ক্রিসমাসের আগে কিংবা পরে যেখানে বন্ধ থাকে অধিকাংশ ইউরোপিয়ান লিগ সেখানে বক্সিং ডে ম্যাচ ইংল্যান্ডজুড়ে ছড়ায় উত্তাপ। তবে এবার তার আগেই কারাবাও কাপে উন্মাদনা ছড়াচ্ছে দুই জায়ান্ট লিভাপুল-ম্যানসিটি দ্বৈরথ।
যদিও লিগের হিসেবে ইএফএল কাপ অর্থাৎ কারাবাও কাপের গুরুত্ব লিগের হিসেবে তাৎপর্যপূর্ণ নয় মোটেও। তবে মর্যাদার লড়াইয়ে অলরেড আর সিটিজেন, ছাড় দিতে নারাজ কোনো পক্ষই।
কিছুটা নির্ভার ম্যানসিটি। এ ম্যাচে শতভাগ ফুলফিট স্কোয়াড পাচ্ছেন গার্দিওলা। শঙ্কা কেটে গেছে জার্মান মেশিন ইকাই গুন্দোগানকে নিয়েও। অনেক আগেই দলের অনুশীলনে যোগ দিয়েছেন হলান্ড-ডি ব্রুইনারা।
এ ম্যাচে রদ্রি, লোপার্তে, ম্যানুয়েল আকাঞ্জি আর নাথান আকে খেলছেন না নিশ্চিত। নেই বিশ্বকাপ জয়ী আর্জেন্টাইন সদস্য হুলিয়ান আলভারেজও। সেক্ষেত্রে চেনা কৌশল ৪-৩-৩ ফর্মেশনের পরিবর্তে ৪-৪-২ এ দলকে খেলাতে পারেন গার্দিওলা।
ম্যাচপূর্বর্তী সংবাদসম্মেলনে গার্দিওয়ালা বলেন, ‘দলের সবাই ফিট আছে এটা স্বস্তির। বিশ্বকাপ নিয়ে তারা নিশ্চয়ই ক্লান্ত। তবে এটাই ফুটবল। কাতারের তাপমাত্রার সঙ্গেও এখানে পার্থক্য আছে তবে ছেলেরা মানিয়ে নিয়েছে। লিভারপুল কেমন প্রতিপক্ষ আমরা জানি। ওরা খুব একটা সুযোগ দেবে না তবে আপনি যতটুকু সুযোগ পাবেন কাজে লাগাতে হবে।’
অন্যদিকে ফরাসি ইব্রাহিমা কোনাতেকে ছাড়া এ ম্যাচের জন্য সবাইকেই পাচ্ছেন ইয়ুর্গেন ক্লপ। খেলতে পারেন ভার্জিল ফন ডাইকও। তবে বিশ্রাম মিলতে পারে হেন্ডারসন, আলেক্সজান্ডার আরনল্ড ও অ্যালিসন বেকারের।
ইয়ুর্গেন ক্লপ সংবাদসম্মেলনে বলেন, ‘মধ্যবর্তী বিরতিতে আমাদের ক্যাম্প দারুণ হয়েছে। তবে যারা বিশ্বকাপে ছিল তারা কিছুও হলেও ক্লান্ত। তবে সিটির বিপক্ষে ম্যাচের জন্য দলের সবাই প্রস্তুত।’
সব ধরনের প্রতিযোগিতায় এ পর্যন্ত দুদলের ২২২ সাক্ষাতে ৫৮ জয়ের বিপরীতে ১০৮ ম্যাচ হেরেছে ম্যানসিটি।